দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দেশের গ্রাহকদের জন্য একের পর এক অত্যাধুনিক পণ্য নিয়ে আসছে। এবার তারা আনছে ই-বাইক!
ওয়ালটন গ্রুপের এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের আসন্ন নতুন পণ্যের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে ইলেকট্রিক বাইক বা স্কুটার।
এই বাইক ব্যবহার করে প্রতি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে খরচ পড়বে মাত্র ১০-১৫ পয়সা। ইতিমধ্যে ওয়ালটনের ই-বাইক নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অধীর আগ্রহে বাইকটির বাজারে আসার অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা।
জানা যায়, নতুন এই ক্যাটাগরির পণ্যের ব্র্যান্ডের নাম দেওয়া হয়েছে তাকিওন (TAKYON)। যা ওয়ালটনের লোগো যুক্ত হলেও তাকিওন নামে বাজারে আসবে। প্রাথমিকভাবে দুটি মডেলের ই-বাইক বাজারে আনা হবে। তাকিওন ১.০০ ও তাকিওন ১.২০। বাইক দুটির দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দেশীয় ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী সাশ্রয়ী দামে ই-বাইক বিপণন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার কায়কোবাদ সিদ্দিকীর নতুন এই ই-বাইক সম্পর্কে জানালেন, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের তাকিওন ১.০০ মডেলে রয়েছে শক্তিশালী ১.২ কিলোওয়াট হাব মোটর। এতে ব্যবহৃত হয়েছে নতুন প্রযুক্তির গ্রাফিন লেড এসিড ব্যাটারি। যা একবার ফুল চার্জে বাইকটি যেতে পারবে ৬০-৭০ কিলোমিটার। বাইকটির গতি হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার।
অপরদিকে তাকিওন ১.২০ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ মোটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বশের (BOSCH) এর মোটর। এর পোর্টেবল লিথিয়াম ব্যাটারির ওজন মাত্র ৯ কেজি। যা খুব সহজেই বহনযোগ্য। বাইকটি এক চার্জে ৫০-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। গতি হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫ কিলোমিটার। তাকিওন ই-বাইকে রয়েছে পোর্টেবল চার্জার। ঘরে ব্যবহৃত ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন হতেই বাইকে চার্জ দেওয়া সম্ভব। বাইকের পারফরমেন্স ১০০ সিসি বাইকেরই সমতুল্য। দুটি মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে ডুয়াল হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক, টিউবলেস টায়ার, এলসিডি স্পিডোমিটার এবং এলইডি লাইটিং।
বর্তমান সময়ে জনসাধারণের যাতায়াত সহজ করতে বাইকের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষত শহরাঞ্চলে অধিক ট্রাফিকের কারণে তরুণদের প্রথম পছন্দই দ্বিচক্রযান বা বাইক। তবে অতিরিক্ত খরচের জন্য অনেকেই প্রচলিত পেট্রোলচালিত বাইক কিনতে ও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন না। তাই গ্রাহকদের কাছে স্বল্পমূল্যে মোটরযান পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছে।
এই তাকিওন ই-বাইক একবার রিচার্জ করে ৫০-৬০ কিলো যাতায়াত করা সম্ভব। বর্তমানে এক লিটার অকটেনের বাজারমূল্য হলো ৮৯ টাকা। যা দিয়ে একটি ১০০ সিসি বাইক সর্বোচ্চ ৫০ হতে ৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। অপরদিকে তাকিওন ই-বাইকে সমপরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করতে খরচ পড়বে মাত্র ৭/৮ টাকার মতো। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে মাত্র ১০ হতে ১৫ পয়সা।
তা ছাড়া প্রচলিত পেট্রেলচালিত বাইকের মতো তাকিওন ই-বাইকের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খরচও প্রয়োজন পড়বে না। একদিকে যেমন সাশ্রয়ী, অপরদিকে তেলের বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত থাকেব। যে কারণে বাইক দুটি পরিবেশবান্ধবও।
ইলেকট্রিক যানের নিবন্ধন সংক্রান্ত বাংলাদেশ সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে বিগত বছরে একাধিক প্রতিষ্ঠান এই শ্রেণীর মোটরযান বাজারজাত করলেও গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পারেননি।
তবে ২০২০ সালের প্রকাশিত গেজেটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ইলেকট্রিক যানবাহন নিবন্ধনের নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। যে কারণে তাকিওন ইলেকট্রিক বাইক নিবন্ধনে কোনো জটিলতা কিংবা সংশয় থাকবে না বলেও ওয়ালটন আত্মবিশ্বাসী। নির্ধারিত সার্ভিস পয়েন্ট হতে তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকের ২ বছর অবধি বিনা মূল্যে বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধাও রয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।