দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অধিকাংশ মানুষই এখন খুব সহজেই সবকিছু পেতে চান। তাই তো রমজানে সেহরী বা ইফতারে প্রস্তুতজাত খাবারই বেশি থাকে। এসব খাবার যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জানার পরও খাওয়া হয়ে থাকে।
আবার বেপরোয়া জীবন-যাপনের জন্য অনেকেরই হঠাৎ করেই ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা লিভারজনিত সমস্যা হতে পারে। তবে এই রমজানে খাদ্যের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকলে এসব সমস্যা হতে দূরে থাকা সম্ভব।
খেজুর খান
খেজুরও খুবই উপকারী একটি ফল। এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পলিফেনল উপাদান যা কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে হৃদযন্ত্রও সুস্থ থাকে।
খেতে হবে বেদানা
ডালিম বা বেদানা যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান। এটি আর্টারির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
দারচিনি খান
প্রতিদিন ইফতার বা সেহরীতে রকমারি খাবারের যেনো শেষ থাকে না। এসব খাবারে দারচিনির ব্যবহার বাড়ানো যেতেই পারে। কেনোনা দারচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান’র পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এই উপাদানটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
ব্রকলি খেতে হবে
ব্রকলিতে ভিটামিন-কে রয়েছে। আর্টারির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এটি সহায়তা করে। তাছাড়াও ব্রকলিতে থাকা ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।