দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ঘুম সবার জন্যই দরকার। এক কথায় বলতে গেলে সঠিক ঘুম শরীরের জন্য খুবই জরুরি একটি বিষয়। তবে প্রশ্ন হলো কতোটুকু ঘুম আপনার জন্য প্রয়োজন? আজ সেটি নিয়েই আলোচনা করা হবে।
একজন মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দেহ এবং মনকে চাঙ্গা রাখে; পরবর্তী দিনের কাজ করতে দেহকেও প্রস্তুত করে। আবার যারা দীর্ঘ সময় নিয়ে ঘুমায় তাদের সেই ঘুম খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মতও নয়। আবার কম ঘুমানোও শরীরের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
কম ঘুমের কারণে সমস্যা কী কী হবে?
# কোনো মানুষের ঘুম কম হলে অবসাদ বাড়ে। সেক্ষেত্রে মনঃসংযোগও কমে যায়।
# নিয়ম করে ৭/৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে ধৈর্য্য কমে যায়। মেজাজও চড়ে যেতে পারে।
# সাধারণত ঘুমের মধ্যে গ্রোথ হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়। তাই বাচ্চারা কম ঘুমোলে তাদের ঠিক মতো বৃদ্ধিও হয় না।
# অনেকেই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাস আছে। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা থাকলে রক্তচাপ আরও বাড়ে। হৃদরোগ এবং মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণের আশঙ্কাও দেখা দেয়।
# পুরো পৃথিবীর অন্তত ৪ শতাংশ মানুষের স্লিপ অ্যাপনিয়া (নিদ্রাহীনতা) রয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের বিশেষজ্ঞ-টিপস জেনে নিন
# ঘুমতে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় তৈরি করে নিন এবং ঘুম থেকে ওঠারও নিয়ম করে নিন।
# দিনের বেলায় ঘুমনোর অভ্যেস যদি থাকে তাহলে তা ৪৫ মিনিটের বেশি যেনো কখনও না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
# ঘুমের আগে কখনও মদ্যপান বা ধূমপান করবেন না।
# ঘুমানোর আগে কখনই ব্যায়ামও করবেন না। অত্যধিক মশলাদার খাবার খেয়েও কখনও ঘুমোতে যাবেন না।
# চেষ্টা করুন আরামদায়ক বিছানায় ঘুমানোর জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বয়সভেদে ঘুমের মাত্রার তারতম্য বিদ্যমান। যেমন প্রবীণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের একটু বেশি ঘুমাতে হয়। বয়স অনুযায়ী প্রতিদিন কোন মানুষের কতোটুকু ঘুমানো জরুরি; এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন।
ঘুম নিয়ে তাদের সেই পরামর্শগুলো পাঠকদের জ্ঞতার্থে উপস্থাপন করা হলো:
# শূন্য হতে ৩ মাস বয়সী শিশু: ১৪ হতে ১৭ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।
# ৪ মাস হতে ১১ মাস বয়সী শিশু: ১২ হতে ১৫ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়।
# ১ হতে ২ বছর বয়সী শিশু: ১১ হতে ১৪ ঘণ্টার ঘুম দরকার পড়ে।
# ৩ হতে ৫ বছর বয়সী শিশু: ১০ হতে ১৩ ঘণ্টা।
# ৬ হতে ১৩ বছর বয়সী শিশু: রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকমতো ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারবে।
# ১৪ হতে ১৭ বছর বয়সী: ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
# ১৮ হতে ২৫ বছর বয়সী মানুষ: রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।
# ২৬ হতে ৬৪ বছর বয়সী মানুষ: রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।
# ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সী: এদের ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।