দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চকোলেট খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে সেই চকোলেট দিয়ে যে কটেজ তৈরি করা যায় তা কিন্তু কেও কখনও চিন্তাও করেননি!
তবে খোলাসা করে বলতে গেলে বলতে হয় আসল ঘটনা। ‘হোম সুইট হোম’ কথাটা যে এমন আক্ষরিক হতে পারে তা প্রমাণ হলো এবার ফ্রান্সে। চকোলেট প্রেমীরা স্বপ্নে নিশ্চয়ই অনেকবার দেখেছেন চকোলেটের বাড়ি, চকোলেটের শহর কিংবা চকোলেটময় এক পৃথিবী? এই স্বপ্ন এবার সত্যিই বাস্তব হয়েছে।
ফ্রান্সে একটি কটেজ তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ চকোলেট দিয়ে। ঠিক তাই খাওয়া যায় এমন চকোলেট দিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই কটেজটি। প্যারিসের দক্ষিণ পশ্চিম শহরতলিতে অবস্থিত সেভরেস অঞ্চলে এই চকোলেট কটেজটি নির্মিত হয়েছে। কটেজটি যিনি তৈরি করেছেন সেই শিল্পীর নাম জঁ-লুক দেক্লুজিউ। চকোলেট দিয়ে নানা শিল্পকর্মের জন্য ইতিমধ্যেই তিনি বিখ্যাত বনে গেছেন।
এই কটেজটি সম্পূর্ণ চকোলেট দিয়ে নির্মিত হয়েছে। ছাদ, মেঝে, ফায়ারপ্লেস, ঘড়ি, বই এমনকি ঝাড়বাতি পর্যন্ত চকোলেট দিয়েই বানানো হয়েছে। বাড়িতে ফুল এবং পুকুরও চকোলেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে! এমন কথা শুনেই সবার অবাক লাগবে সেটিই স্বাভাবিক।
আমরা জানি বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই চকোলেট ভীষণভাবে পছন্দ করেন। স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল হয়েছে এই চকোলেট কটেজের ছবিটি। সেখানে রয়েছে চকোলেটের তৈরি বাগান। যা আপনার চকোলেটি ভুবনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
জানানো হয়েছে, এই চকলেট কটেজে যদি আপনি অতিথি হিসেবে রাত্রি যাপন করেন তাহলে আপনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন এক কর্মশালায়। তখন আপনি চকলেট সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
এই চকলেট কুঠিরে আপনাকে থাকতে চাইলে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ এটি মোট দুই রাত্রির জন্য অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এখানে রাত্রিযাপনের জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ৫০ ইউরো। বুকিং নেওয়া হয় শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর ১৯ তারিখ কিংবা সেপ্টেম্বর ২৬ তারিখে। আপনি চাইলে বুকিং ডট কম (‘Booking.com) এর মাধ্যমে বুকিং করতে পারেন। আপনাকে চকলেট কুঠির বুকিং করতে হবে কেবলমাত্র ৫ ও ৬ অক্টোবরে থাকার জন্য।
এই চকলেট কুঠিরের নির্মাতা মিঃ ডেক্লুজুউ বলেছেন: ‘আমি কখনও ভাবিনি যে ভ্রমণকারীদের ঘুমানোর জন্য আমি একটি জীবন আকারের চকোলেট কুঠির তৈরি করার সুযোগ পাবো। তবে কাজটি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
‘আমি আশা করি অতিথিরাও এই মিষ্টি জায়গায় থাকার সুযোগ পাবে।’ তারা মিষ্টিময় সময় কাটাতে পেরে অনেক আনন্দিতও হবেন- সেটিই আমরা প্রত্যাশা।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।