দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাড়ে ৬ কোটি বছর আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে বিশাল দেহের বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসর। এবার বিজ্ঞানীরা পেলেন নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান!
ডাইনোসর নিয়ে আমাদের যেনো কৌতূহলের শেষ নেই। বিজ্ঞানীরাও ডাইনোসর নিয়ে যুগ যুগ ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার সাফল্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ডাইনোসরের নতুন প্রজাতির বিষয়টি। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে এই পর্যন্ত যতো ডাইনোসরের সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী।
নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অস্ট্রেলোটাইটান কোঅপারেন্সিস’ কিংবা ‘দ্য সাউদার্ন টাইটান’।সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই বিষয়টি জানা যায়।
টাইটানোসর পরিবারের অন্যতম সদস্য ছিল এই ‘অস্ট্রালোটাইটান কুপারেনসিস’ প্রজাতিটি। আজ থেকে ১০ কোটি বছর আগে তারা ঘুরে বেড়াতো এই পৃথিবীর বুকে। একবার ভাবুন কতো বড় ছিল এদের চেহারা?
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মোটামুটি ১৬ হতে ২১ ফুট লম্বা এবং ৮২ থেকে ৯৮ ফুট চওড়া ছিল এই কুপাররা। বিষয়টি সম্পর্কে এরোমাঙ্গা জাতীয় ইতিহাস মিউজিয়ামের কর্মকর্তা রবিন ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, ‘‘এতোদিন আবিষ্কৃত সব ধৱনের প্রজাতির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এরা পৃথিবীর বৃহত্তম ৫টির মধ্যে একটি।’’
২০০৬ সালে ম্যাকেঞ্জির পারিবারিক খামার অঞ্চল হতে এই ডাইনোসরের হাড় প্রথম পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে সেই সন্ধানের কথা গোপন করে রাখলেও পরের বছর অর্থাৎ ২০০৭ সালে প্রথমবার এদের কথা জনসমক্ষে উঠে আসে।
প্রাপ্ত হাড় এবং কঙ্কাল থেকে এতো বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, এই কঙ্কাল এমন এক প্রাণীর, যা ডাইনোসরদের এক নতুন প্রজাতির প্রতিনিধি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ৩ডি স্ক্যান করে এই ডাইনোসরদের নিকটবর্তী প্রজাতির সঙ্গে এদের তুলনা করে তাহলেই এই সিদ্ধান্ত পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, ওই অঞ্চলে আরও বহু ডাইনোসরের কঙ্কাল এবং হাড়গোড়ের সন্ধান পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, আপাতত সেখান থেকে যা জানা গেছে তা প্রকৃতপক্ষে হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আগামী দিনে এই অঞ্চল হতে আরও বড় আবিষ্কার হতে পারে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।