দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সব সময় ভিটামিন সি খাওয়ার চেষ্টা করি। ফল-মুলের সঙ্গে যে ভিটামিন থাকে তাতে খুব একটা ক্ষতি হয় না। তবে সি’র ঘাটতি কমানোর জন্য যে ট্যাবলেট আমরা খেয়ে থাকি সেটি হয়তো আমাদের ক্ষতির কারণও হতে পারে।
আমরা সকলেই জানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন কি ধরণের ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আমরা ভিটামিন সি এর সাপ্লিমেন্টও খেয়ে থাকি। তবে আমরা যখন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশপাশি ভিটামন সি সাপ্লিমেন্ট খাচ্ছি তখন তৈরি হতে পারে নানা সমস্যা।
তবে অন্যান্য খাবারের মতো বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি খাওয়ার কারনে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটি কথা রয়েছে আর তা হলো, অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ।
মানুষ যখন বেশি খায় বেশি খাওয়ার যে একটা খারাপ দিক রয়েছে তখন সে বিষয়টা ভুলে যায়। শরীরের জন্য ভিটামিন সি কতোটা প্রয়োজন সে সম্পর্কে না জানা অতিরিক্ত ওষুধের কারণও হতে পারে।
গবেষণা অনুযায়ী দেখা যায়, একজন মানুষকে প্রতিদিনি ৬৫ হতে ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। একটি কমলা লেবুতে প্রায় ৫০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, সুতরাং দিনে দুইটি কমলা লেবু খেলেই শরীরের চাহিদা পূরণ হয়েও আরও বেশি হয়ে যায়।
ভিটামিন সি খাওয়ার কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে
চিকিৎসকরা বলেছেন, যে পরিমাণ প্রতিদিন একজন মানুষের শরীরে জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন তার থেকে বেশি পরিমাণে সি গ্রহণ করলে শরীরে যে ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে:
# পেটে ব্যাথা
# বমি বমি ভাব
# ডায়রিয়া
# অনিদ্রা
ভিটামিন সি গ্রহণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট করা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যেখানে সব পুষ্টি উপাদান থাকে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, পরিপূরকগুলি কেবলমাত্র পুষ্টির জন্যই তৈরি যা আপনি খাবার থেকে কখনও খাবেন না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।