দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে মানুষ পুরোপুরিভাবে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছেন। আর প্রযুক্তির একটি অন্যতম হলো মোবাইল ফোন। যা কেনার সময় যাচাই করেই কেনা উচিত। এমনই একটি আকর্ষণীয় ফিচারসমৃদ্ধ ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২। জেনে নিন এতে কি রয়েছে।
বর্তমান সময়ে সেরা ফোন কেনার পেছনে ক্রেতাদের প্রত্যাশা হচ্ছে অন্তত কয়েক বছরের জন্য ঝামেলাহীন সেবা। স্মার্টফোন হালকা, অধিক ফিচার সমন্বিত এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল হতে থাকায়, নিজের জন্য যথার্থ ডিভাইসটি পছন্দ করা দিনকে দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
আদর্শ ফোনের সংজ্ঞা একেক মানুষের কাছে একেক রকম। তবে, বেশিরভাগ গ্রাহকের কাছে সেরা ফোন হচ্ছে এমন একটি ফোন, যা একইসাথে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং যাতে প্রয়োজনীয় সকল ফিচার রয়েছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২ এমনই একটি স্মার্টফোন। মিলেনিয়াল, বিশেষত, যারা শক্তিশালী হার্ডওয়্যার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের নিখুঁত সমন্বয় ঘটেছে এমন একটি স্মার্টফোন কিনতে আগ্রহী, তাদের জন্য এ স্মার্টফোনটি উপযুক্ত পছন্দ।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২ বাজেটবান্ধব এবং এর দীর্ঘস্থায়ী সুবিধা উপভোগের জন্য ফোনের ফিচারের ব্যাপারে তেমন ছাড় দিতে হয় না। সোজা কথায়, অসংখ্য আকর্ষণীয় ফিচারসমৃদ্ধ এই ফোনটি কিনতে আপনার অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে না। আকর্ষণীয় ডিসপ্লে বর্তমানে মিলেনিয়ালরা তাদের পছন্দের সিরিজ ও মুভি একটানা দেখতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে। গ্যালাক্সি এম১২-এর ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটযুক্ত ৬.৪ ইঞ্চির এইচডি+ ডিসপ্লে রয়েছে। ডিসপ্লের অ্যাসপেক্ট রেশিও ২০:৯ এবং রেজ্যুলেশন ৭২০ x ১৬০০।
স্যামসাংয়ের অন্যান্য ফোনের মতোই গ্যালাক্সি এম১২ এর রয়েছে নজরকাড়া ডিজাইন, যা মসৃণ ও ঝামেলাহীন অভিজ্ঞতা দেয়। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২ নিখুঁতভাবে তৈরি এবং এই ফোন চালাতে সারাদিন আপনার চার্জার বহন করতে হবে না। ফোনটিতে ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের সাথে ৬,০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল, দীর্ঘস্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটারি ব্যাক আপ রয়েছে। অতিরিক্ত ব্যবহার সত্ত্বেও, একবার চার্জে এর ব্যাটারি দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে।
শক্তিশালী প্রসেসর
স্যামসাং এক্সিনোজ ৮৫০ এসওসি নামের এক নতুন ৮ ন্যানো মিটার চিপসেট চালু করেছে, যার ৮টি কোর সর্বাধিক ২ গিগা হার্টজে চলবে। সাধারণত, এই ধরণের প্রসেসর কেবলমাত্র প্রিমিয়াম ফোনের ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। গ্যালাক্সি এম১২ কম শক্তি খরচ করে এবং কার্যকর ব্যাটারি পারফরমেন্স নিশ্চিত করে।
ঝামেলাহীন গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা
গেমের চাহিদা যেমনই হোক, আপনার গেম খেলার সাথী হতে পারে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২। ফোনটির এলপিডিডিআর৪ র্যাম একে মাল্টি-টাস্কিং পাওয়ারহাউজে পরিণত করার মাধ্যমে এর অসাধারণ পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্রাউজ করার সময় চিপসেটটি দিবে মসৃণ মাল্টি-টাস্কিং, চমকপ্রদ পারফরমেন্সের অভিজ্ঞতা। এছাড়াও, এটি শক্তির ব্যবহার কমাবে।
শক্তিশালী নির্মাণ
ডুয়াল সিম সমর্থিত স্মার্টফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ এর সর্বশেষ সংস্করণের ভিত্তিতে তৈরি ওয়ানইউআই ৩.০ কোর দ্বারা চালিত। স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২ ব্যবহারকারীদের আরও সাবলীল ও ঝামেলাহীন অভিজ্ঞতা দেয়, সেটা দৈনন্দিন জীবনে সহজে ব্যবহারের জন্য ডিভাইস সেটিং ঠিক করা হোক কিংবা স্মার্টফোনে একাধিক কনটেন্ট দেখা।
উচ্চ মানসম্পন্ন ক্যামেরা
গ্রাহকদের, বিশেষ করে মিলেনিয়ালদের স্মার্টফোন কেনার কথা ক্যামেরার মান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্যালাক্সি এম১২ এ রয়েছে এফ/২.০ অ্যাপারচারবিশিষ্ট ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর, ১২৩-ডিগ্রি ফিল্ড অব ভিউয়ের সাথে ৫ মেগাপিক্সেল সেকেন্ডারি আল্ট্রা- ওয়াইড লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ও ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সরের কোয়াড ক্যামেরা সিস্টেম। দিনের আলো ও কৃত্রিম আলোতে ফোনটি ন্যাচারাল ও স্পষ্ট রঙের সাথে নিখুঁত ছবি তুলতে সক্ষম।
সুবিশাল স্টোরেজ
কোন ফোনে যদি ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট এবং ফাইলসহ সবকিছূ স্টোর করা না যায়, তাহলে ফোন থাকা অযৌক্তিক। গ্যালাক্সি এম১২-এ রয়েছে ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রোএসডি’র মাধ্যমে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যায়। তাই, এটি মিলেনিয়ালদের জন্য,
যারা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে নিজেদের স্মরণীয় মুহূর্ত ধরে রাখতে পছন্দ করে তাদের জন্য একটি যথার্থ ডিভাইস।
সুরক্ষা ও নিরাপত্তা
স্মার্টফোনে যেহেতু ব্যক্তিগত তথ্য থাকে, এসব তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সবসময় ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে গ্যালাক্সি এম১২ এ রয়েছে দ্রুতগতির সাইড- মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১২ তৈরি হয়েছে দক্ষতা ও স্থায়িত্ব প্রদানের লক্ষ্যে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।