দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের নিষ্ঠুরতা কথা আবারও শোনা গেলো। সবশেষ যে আদেশ তিনি দেন, তাতে নিষ্ঠুরতা মাত্রা আগের যে কোনো সময়ের চেয়েই ছাড়িয়ে গেছে। সীমান্ত পার হয়ে কোনও বিড়াল ও কবুতর প্রবেশ করলেই হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মিররের এক খবরে বলা হয়েছে, কিমের দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে চীন হতে উত্তর কোরিয়া করোনা ভাইরাস নিয়ে আসছে বিড়াল ও কবুতর। জানা যায়, উত্তর কোরিয়ায় করোনার প্রকোপ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে দেশটির প্রশাসন। সেই তদন্তের রিপোর্টে করোনা ছড়ানোর জন্য বিড়ালকেই দায়ী করা হয়েছে।
তারপরই চীনের সীমান্ত পেরিয়ে কোনও পশু বা পাখি উত্তর কোরিয়ায় ঢুকলেই গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ জারি করেছেন কিম জং উন। এমনকি বিড়াল পোষার কারণে কর্তৃপক্ষের রোষের মুখেও পড়তে হচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষজনকে। সেজন্য শাস্তির পাশাপাশি আইসোলেশনেও থাকতে হচ্ছে অনেক পরিবারকে।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনকেও পশু-পাখি মারার জন্য চাপ দিচ্ছে কিম সরকার। যদিও কিমের এমন আদেশে উত্তর কোরিয়া জনগণের একাংশ ক্ষুদ্ধ বলেও শোনা যায়। যদিও এসবের কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করেন না উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।