দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১ খৃস্টাব্দ, ১৮ আষাঢ় ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ২১ জ্বিলক্বদ ১৪৪২ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগুম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগুম্বুজ ইউনিয়নের চুনোখোলা গ্রামে এই মসজিদটির অবস্থান।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার চুনাখোলা মসজিদকে ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষণা করে ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদসহ তৎকালীন ‘খলিফতাবাদ’ নগর রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ‘খান-উল-আযম উলুঘ খান-ই-জাহান’ কর্তৃক নির্মিত প্রাচীন নগরীর অংশ হিসাবে এই মসজিদটিকে ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসাবে তালিকাভূক্ত করে।
বিবি বেগনী মসজিদের উত্তর দিকে অবস্থিত চুনাখোলা মসজিদটি বর্তমানে একটি ফসলে জমির মাঝে অবস্থিত। তবে নিশ্চয়ই এই মসজিদের আশেপাশে পূর্বে জনবসতি ছিল। জনশ্রুতি রয়েছে যে, হযরত খানজাহান (রহ:) এর বসতভিটার পশ্চিমে যে প্রহরা চৌকি ছিল তাকে কেন্দ্র করেই এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
এক গম্বুজ বিশিষ্ট বর্গাকৃতির মসজিদটির বাইরের দিক লম্বায় প্রায় ৪০ ফুট ও ভেতরের দিক ২৫ ফুট। সুলতানী আমলের খানজাহানীয় কীর্তিটির এই মসজিদের ৩ দিকে মোট ৫টি দরজা রয়েছে।
পূর্বদিকে ১টি বড় (প্রধান) দরজাসহ মোট ৩টি ও উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ১টি করে মোট ২টি দরজা রয়েছে এই মসজিদে। পূর্বদিকের বড় দরজাটির উচ্চতা ৯ফিট, প্রস্থ ৪ফিট ৪ইঞ্চি ও ছোট ২টি দরজার উচ্চতা ৭ফিট ও প্রস্থ ৩ফিট। উত্তর-দক্ষিণ দিকের দরজা ২টির উচ্চতা ৯ফিটের বেশি এবং প্রস্থ ৫ফিট করে।
মসজিদের দেওয়ারের পুরুত্ব ৭ফুট ৮ইঞ্চি ও বাইরের ৪ কোণে ৪টি খান জাহানী রীতি অনুযায়ী গোলাকার ইটের খাম্বা বা পিলারও রয়েছে। চুনাখোল মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।