দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। পর্তুগিজ শব্দ ‘জাকা’ থেকেই এসেছে এই ফলের ইংরেজি নাম ‘জ্যাকফ্রুট’। এই জাতীয় ফলটিকে কেনো ‘সুপারফুড’ বলা হয়? জেনে নিন সেই বিষয়টি।
কাঁঠাল অনেকের পছন্দ হলেও এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে একেক জনের একেক রকম পছন্দ রয়েছে। কারও পছন্দ খাজা কাঁঠাল, আবার কারও পছন্দ গোলা কাঁঠাল। যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে বলেই কাঁঠালকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়। তাহলে আসুন কাঁঠালের খাদ্যগুণ এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
# ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। সেইসঙ্গে শরীরের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও বাড়ায়।
# কাঁঠাল শর্করায় ভরা একটি ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে প্রায় ৯৪ ক্যালরি করে থাকে। সে কারণে কাঁঠাল খাওয়ার পর শরীরের দুর্বলতা একেবারে কেটে যায়। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসে রোগীদের ক্ষেত্রে কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো।
# এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়ামও রয়েছে। মৌসুমি এই ফল নিয়মিত খাওয়ার কারণে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালনও বিঘ্নিত হয় না।
# পরিমাণ মতো কাঁঠাল খেলে পরিপাক ক্রিয়ায় অনেক উপকারও পাওয়া যায়। অন্যান্য ফলের মতোই ফাইবারেসমৃদ্ধ থাকে কাঁঠাল।
# অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে করে ক্যান্সারের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
# চোখের দৃষ্টিশক্তির উন্নয়নে কাঁঠাল অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। কাঁঠালে ভিটামিন এ উপাদানও রয়েছে। যে কারণে ছানি ও রেটিনার অন্যান্য সমস্যাও দূর হয়।
# প্রচুর ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ হওয়ায় কাঁঠাল খেলে শরীরের হাড় মজবুত হয়। তাছাড়াও হাড়ের জটিল রোগের আশঙ্কাও দূরে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: https://www.rtvonline.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।