দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খেলতে গিয়ে আস্ত পেরেক গিলে ফেলেছিল আড়াই বছর বয়সী এক শিশু। তারপরই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট-বমি। শেষ পর্যন্ত ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যান মা। অস্ত্রোপচারের পর শিশুটির শ্বাসনালী হতে পেরেকটি বের করেন চিকিৎসকরা।
ছেলের এই অবস্থা দেখে তার মা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসায় সমাধান মেলেনি। যে কারণে রেফার করা হয় কোলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘণ্টা দুয়েক ধরে অস্ত্রোপচারের পর শিশুটির শ্বাসনালী হতে পেরেকটি বের করতে সমর্থ হন কোলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের ডিঙ্গি এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুটির বয়স ২ বছর ৭ মাস। শিশুটির নাম মুস্তাকিন আলী।
গত সপ্তাহে খেলতে গিয়ে হঠাৎ পেরেক গিলে ফেলে সে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। তবে সেখানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় শিশুটিকে রেফার করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেখানেও ব্রঙ্কিওস্কপির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যে কারনে এক্স-রে করা হলেও সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
তারপর মুস্তাকিনকে রেফার করা হয় কোলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। তারপর শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় বাবা-মা। শিশুটির অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে আবার তার এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায় যে, শ্বাসনালীর ডানদিকে আটকে রয়েছে পেরেকটি। এদিকে ততোক্ষণে শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছিল ৯৪ তে।
হাসপাতালটির ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অরুনাভ সেনগুপ্তের তত্ত্বাবধানে ডা. সন্দীপ্তা মিত্র, ডা. মৃদুল জানেজা, ডা. কামরান আহমেদ এবং ডা. স্পন্দিতা ঘোষ রিজিট ব্রঙ্কিওস্কপির মাধ্যমে খুদের শ্বাসনালীতে আটকে থাকা পেরেকটি বের করে আনেন।
এই পদ্ধতিতে শিশুটিকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে গলায় নল ঢোকানো হয়। নলের সামনে থাকে আলো, ক্যামেরা। যার মাধ্যমে ভিতরটিও দেখা যায়। হাসাপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন মুস্তাকিন। তবে আপাতত ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। দুই হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে ছেলেকে সুস্থ করতে পেরে স্বস্তিতে হাফ ছাড়েন শিশুটির বাবা-মা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।