দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানে নতুন যে কোনো ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে ক্ষমতার সিংহভাগই অংশ চায় তালেবান গোষ্ঠী।
এছাড়াও দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা চললেও সেখানে কার্যত: কাবুল সরকার এবং তালেবানদের অবস্থান একে অপরের কাছ থেকে অনেক দূরে। এইসব তথ্য জানান আফগান বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, আফগানিস্তান হতে মার্কিন সেনাসহ সকল বিদেশী সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশটির সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহী তালেবান গোষ্ঠীর যোদ্ধারা।
আফগান বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ বলেন, এই দাবিতে তালেবান অনড় থাকলেও আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কলরাডোর আসপেন সিকিউরিটি ফোরামের অনলাইন আলোচনায় তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন। -টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
আফগানিস্তানে জন্ম নেওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক আফগানে শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ একেবারেই অন্ধকার দেখছেন। তিনি এমন সময় এই তথ্য দিলেন, যখন তালেবান যোদ্ধারা প্রাদেশিক রাজধানী দখলে মরিয়া হয়ে লড়ে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলছে, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের মধ্যে টোলিফোনে কথোপকথনও হয়েছে। তাতে দোহায় স্থগিত দ্বিপক্ষীয় সংলাপ আবার শুরু করার তাগিদ এলো।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলছেন, ফোনালাপে ঘানি-ব্লিংকেন আফগানে তালেবানের হামলা এবং হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন যে, তালেবান ২০০১ সালের মতো কাবুলও দখল করে নিতে পারে। তারা সরকার কায়েম করে আগের মতোই নারী ও গণমাধ্যম দমনে মরিয়া হয়ে উঠতে পারে সেটিই স্বাভাবিক।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র আফগান ছাড়ার যে চুক্তি তালেবানের সঙ্গে করা হয়েছিলো, সেই চুক্তির মধ্যস্ততা করেন খলিলজাদ। ওই সময় খলিলজাদ বলেছিলেন যে, আফগানিস্তানে শান্তি ফিরতে পারে কেবল সমঝোতা এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে। যে সমঝোতার মাধ্যমে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনও করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঘানি সরকার চাইছে বর্তমান সরকারেই তালেবান প্রতিনিধি রাখা হবে, সেই ব্যাপারে আলোচনাও করতে হবে। তালেবান যুক্তি দিচ্ছে যে, ঘানি সরকার সেনাবাহিনীর শক্তি নিয়েই টিকে রয়েছে।
তালেবানরা চায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সংবিধান। খলিলজাদ বলেছেন, তালেবান শান্তিপ্রক্রিয়ার অনেক দূরে ও তারা কথা বলছে সামরিক এবং অস্ত্রের ভাষায়। তাদের চল্লিশ বছর ধরে চলমান সংঘাত কখনও বৈধতা পেতে পারে না।
গত এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের সেনাবাহিনীকে আফগান হতে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই তালেবানরা একের পর এক অঞ্চল তাদের দখলে নিচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, তালেবানদের দাবি যদি পূরণ না হয়, তারা যদি শক্তির জোরে ক্ষমতা দখল করেও, তাহলে ওই গোষ্ঠীটি ‘বিশ্বচ্যুত’ হিসেবেই পরিগণিত হবে। যার শেষ ফল হতে পারে গৃহযুদ্ধ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।