দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর থেকেই বহু মানুষ দেশ ছাড়তে মরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপে আফগানদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর হয়েছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন।
এই বিষয়ে গত মঙ্গলবার ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন জাস্টিস, পররাষ্ট্র এবং ইনটেরিয়র মিনিষ্টারদের আফগানিস্তানের ইস্যুতে ব্রাসেলসে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে তারা ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যে, ২০১৫ সালের মতো অবৈধ শরণার্থীদের কোনো অবস্থাতেই ইউরোপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালে এক মিলিয়ন শরণার্থী ইউরোপ প্রবেশ করেছিলো। তবে তারা তালিবানদের উত্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমরোধ, নারীদের অধিকার নিশ্চিত করা, জোট বাহিনীর সহযোগীদের জন্য সাহায্যের হাতও বাড়াবে।
পার্শ্ববর্তী দেশসমূহকে এসব শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। ২০২১ হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদান বাবদ খরচ বহন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ৭৯.৫ বিলিয়ন ইউরো বাজেট ঘোষীত হয়েছে। প্রমাণ সাপেক্ষে যুক্তিসঙ্গত আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হবে পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে।
এই বিষয়ে তারা পাকিস্তান, ইরান, কাতার, আমিরাত, কুয়েত, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানসহ নানা দেশের সঙ্গে আলোচনা করবে। শরণার্থীদের ইউরোপে ঠেলে দেওয়ার দায়ে তুরস্ক, রাশিয়া এবং বেলারুশকে প্রয়োজনে পাবন্দী লাগানো হবে।
সকল সীমান্তে নিঃছিদ্র নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ফ্রনটেক্স, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী ও সেনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। এই বিষয়ে ১৩ মিলিয়ন ইউরো বাজেট ঘোষিত হয়। সকল দেশগুলোতে আফগান দূতাবাস খোলা রাখবে কিনা সেটি নির্ভর করবে তালেবান সরকারের কার্যক্রম এবং পররাষ্ট নীতির উপর। সকল আফগানীদের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আশ্রয় আবেদন যাচাই-বাছাই করে দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কিংবা ডিপোর্টেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
এদিকে এমন এক পরিস্থিতিতে আফগানদের প্রবেশ ঠেকাতে তুরস্ক লাগোয়া সীমান্তে ৪০ কিলোমিটারজুড়ে প্রতিরক্ষা বেষ্টনী দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করছে গ্রিস।
দেশটির নাগরিক সুরক্ষামন্ত্রী মিচালিস ক্রিসোচোইডিস বলেছেন, আমরা কখনও বিরুপ প্রভাবের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। আমাদের সীমানা সব সময় অলঙ্ঘনীয় থাকবে। তিনি এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন তুরস্ক ইউরোপের দেশগুলোকে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English