দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখল করে তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
তবে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দীর্ঘ তিন সপ্তাহেও সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয় তালেবান। অবশেষে নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২২ দিন পর অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে।
মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের যেভাবে উত্থান ঘটেছিলো
পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন লিখেছে যে, মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ কান্দাহার প্রদেশের। এই প্রদেশটিই হলো তালেবান আন্দোলনের জন্মভূমি। ১৯৯৬ সাল হতে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানদের যে সরকার ক্ষমতায় ছিল তাতে তিনি পালন করেছেন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও কান্দাহারের গভর্নরের দায়িত্ব।
তিনি তালেবান আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও। তালেবান প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মোল্লা ওমরের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ।
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের বয়স ৬০ থেকে ৭০-এর মাঝামাঝি হবে বলে মনে করা হয়।
অপরদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে যে অবরোধ ঘোষণা করেছে তাতে, তাকে ৭৬ বছর বয়সী বলে উল্লেখ করা হয়।
তালেবানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তিশালী পরিষদ রেহবারি শুরা কিংবা নেতৃত্ব বিষয়ক পরিষদের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। বিশ্লেষকরা তাকে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই দেখে থাকেন। তার রয়েছে রেহবারি শুরা’র ওপর নিয়ন্ত্রণ। সামরিক বিষয়েও তার সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে।
ওদিকে তালেবানের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের বয়স অনেক বেশি। তালেবানের সিনিয়র নেতৃত্বের মধ্যে তিনিই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বয়সী। তালেবানের আন্দোলনে আর্থিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে থাকেন তিনি। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের এক অবরোধ বিষয়ক রিপোর্টে তাকে বর্ণনা করা হয় মোল্লা ওমরের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে। তাছাড়াও তালেবানদের মধ্যে মোল্লাহ মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে খুব সম্মান দেখানো হয়। তিনি তালেবান সুপ্রিম নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা’র খুব ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।