দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট্ট একটি গ্রাম হলো রসুলপুর। এই গ্রামটিতে সাক্ষরতার হার শতভাগ, অপরাধের হার শূন্য শতাংশ! গত ১০০ বছরে এই গ্রামে কোনো অপরাধের রেকর্ডই নেই!
ছোট্ট গ্রামটি পুরো বিশ্বের জন্য বর্তমানে হয়ে উঠেছে রোল মডেল। গ্রামটি পাকিস্তানের উত্তর-পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের।
সেখানকার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রসুলপুরের অধ্যক্ষ মেহতাব জাহান জানিয়েছেন, আমি দুই বছর আগে এখানে বদলি হয়ে আসি। এখানকার মানুষের দায়িত্বশীলতার অসাধারণ নমুনা দেখে আমি রীতিমতো বিস্মিত হয়েছি। এখানে রাস্তায় কেও ময়লা ফেলে না, পুরো গ্রামের কেও ধূমপানও করে না।
রসুলপুরের জনসংখ্যা খুব একটা বেশি না। ২/৩ হাজার অধিবাসীদের অধিকাংশই জাতিগত আহমদানি বেলুচ। তাদের পূর্বপুরুষরা ১৯৩৩-৩৪ সালে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ থেকে দক্ষিণ পাঞ্জাব জেলায় চলে এসেছিলেন। সেই সময় তাদের আয়ের কোনো স্থায়ী উৎস এখানে ছিল না। অতএব তারা শিক্ষাকে তাদের জীবিকার উৎস হিসেবে বেছে নেন।
মেহতাব বলেন, নাম স্বাক্ষর করতে পারলেই যে স্বাক্ষরতার হার হবে, এখানে ওই সংজ্ঞার কোনোই মূল্যায়ন নেই। এই গ্রামের প্রত্যেককে অন্তত হাইস্কুলের পড়া শেষ করতে হয়। অন্যথায় গ্রামের মুরব্বিরা তাকে সমাজে অংশ নেওয়ার কোনো অনুমতি দেয় না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই গ্রামের সব নারীই শিক্ষিত। এই কারণে শিশুরা ৪-৫ বছর বয়সে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের শিক্ষা শুরু হয়ে যায়। গ্রামটিতে একটি সংস্থাও রয়েছে, যারা পড়াশোনার খরচই বহন করতে পারে না, তাদেরকে সহায়তা করা হয়। স্কুল থেকে যাতে কেও ঝরে না পড়ে সেই বিষয়টি দেখভাল করা হয়।
রসুলপুরের বাসিন্দা দেলাওয়ার সালেম বলেছেন, শুধু শতভাগ শিক্ষার হার এই গ্রামের একমাত্র অর্জন তা কিন্তু নয়। গত ১০০ বছরে একটিও ফৌজদারি মামলা হয়নি গ্রামটির কারও বিরুদ্ধে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে কেওই সীমা অতিক্রম করার কখনও চেষ্টা করে না। এই নিয়মটিই আমাদের শূন্য অপরাধ অর্জন করতে সক্ষম করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।