দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার সুরক্ষায় গলদ পাওয়া গেছে গুগলের জনপ্রিয় ক্রোম ব্রাউজারে। তাতে করে প্রভাবিত হতে পারেন বিশ্বের ২ বিলিয়ন ক্রোম ব্যবহারকারী।
সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে এই বিষয়ে জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। বহুজাতিক এই প্রযুক্তি কোম্পানিটি জানিয়েছে যে, ক্রোম ব্রাউজারে বছরের ১১তম ‘জিরো ডে’ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর কারণে প্রভাবিত হতে পারে বিশ্বজুড়ে লিনাক্স, ম্যাকওএস ও উইন্ডোজে গুগল ব্যবহারকারীরা।
এই জিরো ডে আসলে কী?
গুগল তার কোনও বিষয়ে কোনও নিরাপত্তার ফাঁক পেলে তা সঙ্গে সঙ্গেই সারিয়ে ফেলে। তবে সেই প্যাচ রিলিজের আগেই যদি কোনও হ্যাকার সেটি ব্যবহার করে হানা দিয়ে দেয়, সেটাকে জিরো ডে এক্সপ্লয়েট বলা হয়।
অন্যান্য নিরাপত্তাজনিত ত্রুটির তুলনায় এটি একটু বেশিই ভয়ানক। কারণ হলো CVE-2021-37973 ত্রুটিকে কাজে লাগিয়ে যে সিকিউরিটি ব্রিচ করা হয়ে থাকে, সে বিষয়ে ধারণাও হয়ে গেছে হ্যাকারদের।
গুগল জানিয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সেই কারণে CVE-2021-37973 ত্রুটির ডিটেইলস-এর বিষয়ে সমস্ত তথ্যই গোপনও রাখছেন তারা। নিরাপত্তার জাল ভেঙে যেসব হ্যাকারদের প্রবেশ ঘটেছে, তা ইতিমধ্যেই খুঁজেও পেয়েছেন গুগল-এর কর্মীরা।
ঝুঁকির দিক থেকে এটিকে ‘উচ্চ’ বলে চিহ্নিত করছে গুগল। অর্থাৎ বিষয়টি বেশ চিন্তার বিষয়। নতুন এই জিরো ডে চলতি বছরের ১১ তম UAF (Use-After-Free) জাতীয় দুর্বলতা। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই এই ধরণের ১০টি UAF-এর খোঁজ পাওয়া যায় ক্রোম ব্রাউজারে। যে কারণে ক্রোমের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমেই শঙ্কা আরও বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।
তবে গুগল ইতিমধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিক্স রিলিজ করেছে। একইসঙ্গে সমস্ত ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে সংস্থাটি। সকল ক্রোম ব্যবহারকারীকেই এই ফিক্সটি পাঠাবে গুগল।
আপনার ক্রোম সুরক্ষিত কিনা সেটি জানবেন কীভাবে?
আপনার ক্রোম ব্রাউজারের ডানদিকের ৩টি ডট-এ ক্লিক করুন। তারপর Settings>Help>About Google Chrome। এবার দেখে নিন আপনার ক্রোম ভার্সান 94.0.4606.61 বা তার চেয়েও বেশি কিনা।
সেটি থাকলেই আপনি নিরাপদ। যদি সেটি না হয়ে থাকে, তাহলে আপডেট করুন। প্রয়োজনে ক্রোমের অফিসিয়াল সাইট হতে নতুন করে ক্রোম ইনস্টল করে নিতে হবে। তাহলেই আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গুগল কর্তৃপক্ষও ঠিক তেমনটিই জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।