দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দেশে পেয়ারা বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি ফল। অথচ সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। শুধু ফলই নয়, পেয়ারা পাতাতেও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ : পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলালেবু থেকেও। অপরদিকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়। এ ছাড়াও ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রণ, ফসফরাস ও পটাসিয়াম রয়েছে পেয়ারায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে পেয়ারা : পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মতো অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে থাকে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে থাকে।
হার্ট সুস্থ রাখতে পেয়ারা : ১৯৯৩ সালে “Journal of Human Hypertension” এ প্রকাশিত হয়, নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ এবং রক্তের লিপিড কমে যায়। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি’ও রয়েছে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিতভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারা : চাইনিজ চিকিৎসা শাস্ত্ররে অনেক বছর ধরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ব্যবহার হয়ে থাকে। ১৯৮৩ সালে American Journal of Chinese Medicine প্রকাশ করেছে যে, পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতা বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে এরপর ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে পেয়ারা : ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। তাছাড়া কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভালো একটি উৎস।
ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে পেয়ারা : বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতেও ভূমিকা রাখে পেয়ারা। উচ্চ পরিমাণে আয়রণ এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। তবে কাঁচা পেয়ারা ঠাণ্ডজনিত সমস্যা দূর করতে বেশি কার্যকর।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা : পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পেয়ারার পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই পেয়ারা রাখুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।