দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুলসি পাতা খুব সামান্য পাতা মনে হলেও এতে রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ ও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। ছোটোখাটো অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে এই তুলসি পাতার জুড়ি নেই।
জেনে নিন শারীরিক সমস্যায় প্রতিকার হিসেবে তুলসি পাতার কয়েকটি ব্যবহার:
কিডনির সমস্যার সমাধান: তুলসি পাতা কিডনির বেশ কিছু সমস্যার সমাধান দিতে পারে। তুলসি পাতার রস প্রতিদিন একগ্লাস করে খেলে, কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। তুলসিপাতার রস টানা ৬ মাস খেতে পারলে সেই স্টোন মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায় বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
গলা ব্যথা: গলা ব্যথা হলে সামান্য গরম পানিতে তুলসি পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে কুলকুচি করলে কিংবা পান পারলে গলার ব্যথা দ্রুত সেরে যায়।
সর্দি ও কাশি: সর্দি ও কাশি প্রায় প্রত্যেকটি মৌসুমের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এটি সবাইকে কষ্ট দেয়। এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে তুলসি পাতা ৫ মিনিট ধরে চিবিয়ে রসটি গিলে নিতে হবে। তাহলে এই সমস্যার হাত থেকে খুব সহজেই সমাধান পেতে পারেন। আমরা ছোট বেলা থেকেই ঠাণ্ডা লাগার ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহার করতে দেখেছি।
ত্বকের সমস্যা: ত্বক ও ব্রণের সমস্যা সমাধানের একটি সহজলভ্য এবং অন্যতম উপাদান হলো এই তুলসি পাতা। নানা রকম অ্যালার্জির সমস্যায় তুলসিপাতা অত্যন্ত কার্যকর একটি জিনিস। তুলসি পাতার পেস্ট তৈরি করে সেটি ত্বকে লাগালে এই সমস্যাগুলি অনেকটাই কমে যেতে পারে।
জ্বর: তুলসি পাতা সব থেকে বেশি যে অসুখের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে তা হলো জ্বর। চায়ে তুলসি পাতা সেদ্ধ করে পান করলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু প্রভৃতি অসুখ থেকে রক্ষা পাবেন। বর্তমান সময়ে করোনার রোগিরাও এই তুলসি পাতার চা খেলে উপকার পাবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।