দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের অন্যতম সৌন্দর্য হলো সম্প্রীতির মেলবন্ধন। যে বন্ধন তেরশত নদীর মতোই অবিচ্ছেদ্য, বহমান পলল মিশ্রিত জলের মতোই এক মোহনায় মিলিত হয়ে রূপনিয়েছে বাঙ্গালি সংস্কৃতি হিসেবে।
বৈশাখ বা পৌষ-বসন্ত তারই স্বাক্ষ্য বহন করে। একই দিন সংঘাতহীন ভাবে ব্যাপক সমারোহে মুসলিমসম্প্রদায়ের ঈদ এবং সনাতনহিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজা উদযাপনের বিরল এবং অনন্য দৃষ্টান্ত বাঙ্গালি সংস্কৃতির উজ্জ্বল প্রমাণ।
এ দেশের শিশুদের ঘুম ভাঙ্গে মসজিদের আজান আর মন্দিরের ঘন্টাধ্বনিতে। এটাই আমাদের কৃষ্টি, এভাবেই এ দেশের শিশুরা বেড়ে উঠে একই আলো-বাতাসে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের মৌলবাদী গোষ্ঠি এবং কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল তাদের হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের সম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপর বার বার আঘাত হানছে। ধর্মীয় রেখা টেনে এক সংঘাতময় বাংলাদেশ তৈরির অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। সদ্য ঘটে যাওয়া কুমিল্লার ঘটনা তারই উদাহরণ। এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবে। আর ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ৪১। (১) আইন, জনশৃক্সখলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে-
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে।
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্বধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।
যে মৌলবাদী গোষ্ঠিও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল তাদেরহীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের সংবিধান প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিনষ্ট করার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছে,তাদেরকঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে ‘খেলাঘর’।
ধর্মীয় উন্মাদনা এবং বিভেদ সৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। কোমলমতি শিশুদের মননে নেতীবাচক প্রভাব বিস্তার করছে এবং শিশুরা হচ্ছে ভীতসন্ত্রস্ত, উৎকণ্ঠিত। অপরদিকে শ্রদ্ধাবোধের জায়গায় অন্য ধর্মের প্রতি সৃষ্টি হচ্ছে বিদ্বেষ।
ধর্মীয় বিভাজন টেনে এভাবেই সম্প্রীতির বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে চিহ্নিত করার কুট-কৌশলে মেতেছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি।
খেলাঘর বিশ্বাস করে- আজকের শিশুরাই আগামী বাংলাদেশ নির্মাণের মূল শক্তি। আজকের শিশুদের হাত ধরেই নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়,শহীদের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। বিজ্ঞানমনস্ক জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে তুলে ধরবে বাংলদেশের লালসবুজ পতাকা।
সেই লক্ষ্যে ধর্মীয়বিভেদ সৃষ্টিকারী,রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে যুক্ত এসব ধর্মহীন জঙ্গিবাদী গোষ্ঠিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদাবি করছে‘খেলাঘর’। তবেই গড়ে উঠবে শিশুর বাসযোগ্য ভয়ভীতিহিন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
# বার্তা প্রেরক-
কেন্দ্রিয় খেলাঘর আসর
এর পক্ষে
হাসানুজ্জামান
সদস্য, খেলাঘর কেন্দ্রিয় কমিটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।