দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনা লিসাকে নিয়ে শত শত বছর ধরে চলা শিল্প সমঝদারদের আলোচনা-গবেষণায় ভাটা পড়ে না একচুলও। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ইতালির ফ্রোরেন্সের কয়েকজন বিজ্ঞানী ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ‘আসল’ মোনা লিসাটি কে ছিলেন তা শনাক্তকরণে নেমেছেন। আসল মোনা লিসা শনাক্তকরণ সম্ভব হলে সেই কঙ্কাল থেকেই মোনা লিসা দেখতে কেমন ছিলেন তার একটি সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করা সম্ভব। হয়ত মোনা লিসার রহস্যময় হাসির রহস্যটিও সেই সঙ্গে উদঘাটিত হবে।
ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর ‘মোনা লিসা’ নামের ছবিটি আঁকেন। এটিই ছিল শিল্পীর সবচেয়ে প্রিয় ছবি এবং তিনি সবসময় এটিকে সঙ্গেই রাখতেন। বিজ্ঞানীরা ধারণা করে আসছেন, লিসা ঘেরাদিনি নামে ফ্লোরেন্সের এক সিল্ক ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে মডেল বানিয়েই ভিঞ্চি তার মোনা লিসা নামের এই বিখ্যাত চিত্রকর্ম এঁকেছেন। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি গির্জার ভুগর্ভস্থ কক্ষে লিসা ঘেরাদিনির পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রটি উন্মুক্ত করেছেন।
মোনা লিসার পরিচয় শনাক্তকরণের অন্যতম উদ্যোক্তা সিলভিও ভেনসিটি বলেন, প্রথমে কার্বন-১৪ পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হবো খনন করে পাওয়া কঙ্কালগুলোর মধ্যে কোনগুলো ১৫০০ সালের কাছাকাছি সময়ের। মোনা লিসাও সেই সময়েরই মানুষ ছিলেন। যে কয়টি কঙ্কাল পাওয়া যাবে সেগুলো নিশ্চয়ই মোনা লিসা বা লিসা ঘেরাদিনি এবং তার পরিবারের সদস্য। তারপর যে কঙ্কালগুলো ওই সময়ের, সেগুলোর মধ্যে আমরা ডিএনএ (DNA) পরীক্ষা চালাবো। ডিএনএন পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা যদি দুটি কঙ্কালের মধ্যে মা-ছেলের সম্পর্ক খুঁজে পাই, তাহলে ধরে নিতে হবে মা-টিই ছিলেন মোনা লিসা বা লিসা ঘেরাদিনি।
বিজ্ঞানীরা যদি লিসা ঘেরাদিনির কঙ্কাল শনাক্তকরণে সক্ষম হন, তাহলে ডিএনএ এবং কঙ্কালের আকার থেকে লিসা ঘেরাদিনি দেখতে কেমন ছিলেন তার একটি সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করতে পারবেন। তার সে ছবি থেকে হয়ত মোনা লিসার রহস্যময় হাসির একটি কারণ উদঘাটন সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল