দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রুবেল-হ্যাপি বিষয়টি গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের বিনোদন জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই হ্যাপির ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হযেছে। এতে ধর্ষণের প্রমাণ মিললেও কে করেছে তার প্রমাণ মেলেনি। তাই এবার রুবেলের ডিএনএ টেস্ট করার দাবি করেছেন হ্যাপি।
এদিকে মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছুটিতে থাকার কারণে সেটি এখনও প্রকাশ করা হয়নি। যদিও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে ব্যাপক সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। তবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হ্যাপি। তিনি বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমে কোনো কিছু বিচার বিশ্লেষণ না করেই সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। হ্যাপি সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ করেছেন, তদন্ত এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য।
হ্যাপি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘দুইদিন ধরে খুব কষ্টে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করেছি’। যে যার মতো করে ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করে যাচ্ছে। যা মিডিয়ার কাছে মোটেও কাম্য নয়। বুধবার দুপুরের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিরপুর থানা পুলিশের হাতে আমার ফরেনসিক রিপোর্টের কপি তুলে দেওয়া হয়। এরপর মিরপুর থানা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তার উল্টোটা।’ হ্যাপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে কিছু মিডিয়াই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
সবার কাছে হ্যাপি একটি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমার একটি প্রশ্ন, এরকম একটি সেনসেটিভ ইস্যু নিয়ে মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশ করা কি যুক্তিসঙ্গত? ‘সাম্প্রতিককালে কোনোরকম দৈহিক সম্পর্ক হয়নি বলে কিছু খবর বেরিয়েছে’। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে সংবাদ মাধ্যমকে হ্যাপি বলেন, ‘দেখুন সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ২ ডিসেম্বর। কিন্তু মামলা করেছি ১৩ ডিসেম্বর।’
এ বিষয়ে হ্যাপি আরও বলেন, ‘সাধারণত ৪৮ ঘন্টা পর দৈহিক মেলামেশার বিষয়টি ফরেনসিক রিপোর্টে খুব একটা ফুটে উঠে না। তবে এটা আমাকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, একজনের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা হয়েছে এমন তথ্য রিপোর্টে রয়েছে। তবে কার সঙ্গে হয়েছে তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া সঠিক করে বলা যাবে না ‘
আর তাই হ্যাপি বলেছেন, ‘এবার রুবেলের ডিএনএ টেস্ট করা দরকার’ এজন্য শীঘ্রই আদালতে পিটিশন দেবো। তখনই আসল সত্য প্রকাশ পাবে। কারণ আমি কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেইনি। সেটি প্রমাণ হতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মডেল ও চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। হ্যাপিকে সেদিনই ভিকটিম সেন্টারে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নিয়ে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। মামলার পর মোবাইলে কথপোকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ ও নানা মুখরোচক খবর প্রকাশিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ ঢাকা মেডিক্যার কলেজ হাসপাতালে দৈহিক মেলামেশার ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। তবে এটি মিরপুর থানাকে দেওয়া হয়েছে।