দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এলাচ এমন একটি মসলা যা ঠাণ্ডা, গলাব্যথা-সহ নানা অসুখ দূর করতে পারে। তবে এবার উঠে এসেছে এলাচ কিডনি সমস্যাও দূর করতে পারে।
এলাচ উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি মসলা। কালো এলাচ ঠাণ্ডা এবং কফজনিত সমস্যা দূর করে থাকে। এর অ্যান্টিসেপ্টিক সমৃদ্ধ বীজ থেকে পাওয়া তেল গলাব্যথা সারাতেও কার্যকরী।
এলাচ রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও এলাচের কিছু বাড়তি সুবিধাও রয়েছে। এটিকে প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। এলাচের কিছু অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
কিডনির সমস্যা দূর করে এলাচ: কিডনির সমস্যা দূর করতে এলাচ খুব ভালো কাজ করে থাকে। এলাচ মূত্রত্যাগের বিষয়টি উদ্দীপ্ত করে ও রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। কিডনিতে জমতে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ইউরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত এলাচ গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরণের কিডনির সমস্যা যেমন- মূত্র থলির সমস্যা, কিডনির পাথর, নেফ্রাইটিস, মূত্র ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া করা কিংবা ব্যথা করা এবং ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের সমস্যা নিরাময়ে কাজ করে থাকে।
দুর্গন্ধ দূর করতে এলাচ: এলাচ মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করতে সক্ষম। এলাচ মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়, যে কারণে মুখে দুর্গন্ধ একেবারেই থাকে না। তাই অনেক টুথপেস্টে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই মুখে দুর্গন্ধ হলে একটি এলাচ চুষে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। দেখা যাবে দুর্গন্ধ একেবারে নেই।
পেটের সমস্যা দূর করতে এলাচ: এলাচ পেট ফাঁপা অবস্থা হ্রাস করে, কারণ প্রাকৃতিকভাবেই এলাচ বায়ুনাশকারী হিসেবে অনেক কার্যকরী। এটি পরিপাকে যেমন সাহায্য করে তেমনি পিত্তরসের প্রবাহও বৃদ্ধি করে থাকে। দেহের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এলাচের বিকল্প নেই।
শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দূর করতে এলাচ: শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যার বিরুদ্ধেও লড়াই করতে পারদর্শী এলাচ। হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণ, অ্যাজমাসহ নানা সমস্যায় এলাচ খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
রক্ত জমাট বাধার সমস্যা সমাধানে এলাচ: এই ছোট্ট মসলা এলাচে বিদ্যমান ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও হ্রাস করে। মূলত দেহের বাড়তি ফ্লুইড বের করে এলাচ এই কাজটি করে। আবার এলাচের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যাও দূর করে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্বও স্বাভাবিক থাকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।