দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের লাইফে ফ্রিজের ভূমিকা অনন্য। কারণ ফ্রিজ ছাড়া আমাদের একটি দিনও চলে না। কিন্তু আমরা জানিনা এই ফ্রিজের খাবার কতোটা ক্ষতিকর। আজ জানবো বিষয়টি।
বর্তমান সময়ে ফ্রিজ ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে বিশেষ করে মাছ-মাংস ও তরিতরকারী সবই রাখা হয় ফ্রিজে। আবার রান্না-বান্নার যাবতীয় পণ্য যেমন তরকারি বেচে গেলে সেটিও রাখা হয় ফ্রিজে। এক্ষেত্রেই সন্দেহ বাধে অনেকের মনেই। দীর্ঘদিন ফ্রোজেন খাবার খেলে শরীরে কী কোনো সমস্যা হতে পারে? আজ ফ্রিজে রাখা খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রোজেন ফুড কতোটা ক্ষতিকর?
ফ্রোজেন ফুড বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে খাবারকে সহজ-প্রাপ্য করে তুলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এক অঞ্চলে বসে ভিন্ন কোনো দেশ কিংবা অঞ্চলের খাবার খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি বাজার থেকে আনা সবজি কিংবা মাছ-মাংস বাসায় এনে ফ্রিজে রেখে দীর্ঘদিন খাওয়াও সম্ভব হচ্ছে।
ভারতীয় ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট হিনা নাফিসের মনে করেন, খাবার কিভাবে প্রিজার্ভ করা হচ্ছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিছু কিছু সংস্থা প্রিজারভেটিভ কিংবা অ্যাডিটিভস সঠিকভাবে ব্যবহার করেই না। অনেক ক্ষেত্রেই প্রিজারভেশনের সময় পুষ্টিগুণ কিছুমাত্রায় নষ্ট হলেও তা সংযোজন করা হয়। এসব দিক বিবেচনা করলে ফ্রোজেন ফুড একেবারে খারাপ নয়।
তিনি আরও বলেছেন, বাজার থেকে আনা টাটকা শাক-সবজির সঙ্গে তুলনা করা হলে ফ্রোজেন ফুড অনেকটাই পিছিয়ে থাকবে। যদি স্থানীয় কিংবা হাতের কাছের বাজারে শাক-সবজি পাওয়া না যায় তাহলে ফ্রোজেন ফুড অবশ্যই খেতে পারেন।
সংরক্ষণের সময় কিছু ভিটামিন অনেক সময়ই নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য ভারতীয় এই পুষ্টিবিদের মতে, ফ্রোজেন ফুড খাওয়ার পূর্বে একটু পাতিলেবুর রস দিয়ে সমতা ফিরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ফ্রোজেন ফুডে পুষ্টিগুণ কতোটুকু ঠিক থাকে?
ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান প্রিয়া আগরওয়াল মনে করেন, খাবার যেহেতু শূন্য ডিগ্রির নিচে স্টোর করা হয়ে থাকে তাই এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় খাবার রান্না করলে যেমন পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক তেমনই নিম্ন তাপমাত্রায় খাবার সংরক্ষণ করলেও কিছুটা পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে। ফ্রোজেন ফুডে ভিটামিন-সি এবং ডি এর ঘাটতি দেখা যায়।
ফ্রোজেন ফুডে সোডিয়ামের মাত্রা একটু বেশি থাকার কারণে মুখে নিলে একটু নোনতা স্বাদও পাওয়া যায়। তাই কার্ডিয়াক এবং কিডনি রোগীদের ফ্রোজেন ফুড না দেওয়া ভালো বলে মনে করেন ভারতীয় আরেক পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায় চৌধুরী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।