দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই কমবেশি মিথ্যা বলে থাকে। কিছু মিথ্যা অবশ্য অন্যের কোনও রকম ক্ষতি করে না। তবে কিছু মিথ্যা মানুষের ক্ষতির কারণও হতে পারে। কিন্তু মিথ্যা কীভাবে বুঝবেন? খুব ঘন ঘন মিথ্যা বললে জানান দেবে এমন কিছু লক্ষণ!
অনেক সময় মারাত্মক পরিস্থিতি এড়াতে মিথ্যা বলতে হয়। রোজকার জীবনে টুকটাক মিথ্যা বলতে হয় নানা কারণেই। কেও কেও আবার অকারণেও অনেক সময় মিথ্যা বলে থাকেন। হাতেগোনা কিছু মানুষ রয়েছেন, যাদের মিথ্যা বলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নিত্য দিনের সঙ্গী করেই চলেন তারা মিথ্যাকে। তবে আমাদের সকলের মধ্যে এক ধরনের স্বাভাবিক প্রবণতাও থাকে, অন্যদেন মিথ্যা ধরার বিষয়ে। কেও আপনাকে মিথ্যা বলছেন কি না, তা বুঝতে পারলে এক অন্য রকম তৃপ্তি অনুভব করে থাকেন অনেকেই। তবে সেটি খুব একটা সহজ কাজ নয়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সেখানে কিছু লক্ষণ বলা হয়, যা আমরা অনেক সময়ই উপেক্ষা করে থাকি। একটু মন দিয়ে এই লক্ষণগুলি যদি কেও ধরতে পারেন, তাহলে যে কোনও মিথ্যা ধরে ফেলা খুব কঠিন হবে না। সেগুলো তাহলে কী? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
এলোমেলো কথা বলা
অনেক সময় কোনও বিষয়ে কেও মিথ্যা বললে, খুব বেশি খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান না। কোনও বিষয়ে কথা বলার সময়ে অনেক এলোমেলো কথা চলে আসে তার কথার মধ্যে। আর তা দেখেই বোঝা যায়, কেও কোনও কথা গোপন করছেন কি না।
কথা বদলে ফেলা
বার বার কোনও প্রসঙ্গ উঠলেই কেও যদি এক এক বার এক এক ধরনের কথা বলে থাকেন, তা হলেও বুঝতে হবে যে, তিনি সত্য কথা বলছেন না। সময়ের সঙ্গে খানিকটা স্মৃতিভ্রম সকলেরই হতেই পারে। তবে সব জরুরি খুঁটিনাটি যদি বদলেও যায়, তা হলেই বোঝা যাবে কিছু একটা গন্ডগোল তো রয়েছেই।
অত্যাধিক চিন্তাভাবনা করা
যখন আমরা কোনও কথা বলি, স্বাভাবিক একটি গতি থাকে কথা বলার ক্ষেত্রে। তাতে হঠাৎ বাধা পড়লে খানিকটা গতিরোধ হতে পারে। তবে শুরু থেকেই যদি কেও অনেক ভেবে থেমে থেমে কথা বলতে থাকেন, তাহলে তাকে সন্দেহ করতে পারেন, সে হয়তো মিথ্যা কথা বলছেন।
বারং বার একই শব্দ প্রয়োগ
কোনও কথা বলার সময় কেও যদি একই শব্দ বা শব্দবন্ধ বার বার ব্যবহার করেন, তাহলে বুঝে নিতে হবে, তিনি চট করে কথা সাজাতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে তার মিথ্যা বলার সম্ভাবনা থেকে যায়।
অহেতুক খুঁটিনাটি সময় ক্ষেপণ
যারা মিথ্যা বলায় পারদর্শী, তারা অনেক সময় আপ্রাণ চেষ্টা করেন, যাতে তাদের মিথ্যা ধরা না পড়ে। যে কারণে কোনও স্বাভাবিক বিষয়ে প্রশ্ন করলেও নানা রকম খুঁটিনাটি বলতে থাকেন। যেগুলো শুনেই মনে হতে পারে, এতো বিষদে কে শুনতে চেয়েছেন। তবে এই লক্ষণের উপর ভিত্তি করেই কাওকে সন্দেহ করার আগে একটু সচেতন হওয়া দরকার। কারণ হলো অনেকেই এমনিতেই বেশি কথা বলেন। তাদের এই এক দলের মধ্যে ফেলা যাবে না।
একেবারে নড়াচড়া না করা
মিথ্যা বলা খুব একটা সহজ কাজ নয়। একমাত্র প্যাথোলজিক্যালি যারা মিথ্যা বলেন, তারা বাদে, বাকিরা কোনও মিথ্যা বলার সময় খুব সন্তর্পণে বলার চেষ্টা করে থাকেন। যে কারণে অনেক সময় তাদের শরীরী ভাষা বড্ড বেশি স্থির হতে দেখা যায়। যদি এই ধরনের ব্যবহার কখনও লক্ষ্য করেন, তাহলে সন্দেহ করতে পারেন, তিনি হয়তো মিথ্যা কথা বলছেন।
গলার সুর বদল হওয়া
যারা মিথ্যা বলতে খুব একটা অভ্যস্ত নন, তারা মিথ্যা বলার সময় অস্বস্তিতে পড়ে যান। তাই অনেক ক্ষেত্রে কথা বলার সময় গলার সুর একদমই অন্য রকম হয়ে যায়। মিথ্যা ধরে ফেলার এটিও একটি সহজতম উপায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।