দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম একটি অঙ্গ হলো কিডনি বৃক্ক। বৃক্কের সমস্যা সময় থাকতে না সামলানো হলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হতে পারে। তাই সময় থাকতে সাবধান হতে হবে।
একটি সমস্যা হলো অনেক ক্ষেত্রেই কিডনি সমস্যার উপসর্গগুলি এতোটাই মৃদু হয় যে, অসুখ গভীর না হলে বুঝে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আজ জেনে নিন লক্ষণগুলো, যা থেকে আপনি সাবধান হতে পারবেন।
প্রতিমুহূর্ত ক্লান্ত লাগা
কাজ কর্মের উদ্যম হারিয়ে ফেলা ব়়ৃক্কের সমস্যার অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ। বৃক্কের মূল কাজই হলো রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। যে কারণে ক্লান্ত লাগে আক্রান্ত ব্যক্তির। দেখা দিতে পারে রক্ত স্বল্পতার সমস্যা। রক্ত স্বল্পতার অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্লান্তি হয়ে যাওয়া।
অনিদ্রা দেখা দেওয়া
কিডনি ঠিকমতো না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলি দেহের বাইরে তখন বেরোতে পারে না। এটি কিন্তু অনিদ্রার অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি হতে পারে।
ত্বকের সমস্যা
মানবদেহে প্রয়োজনীয় লবণ এবং খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখাও কিডনির অন্যতম একটি প্রধান কাজ। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই উপাদানগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা এবং হাড়ের সমস্যা কিডনির অসুখের অন্যতম লক্ষণও হতে পারে।
পা ফুলা
কিডনির সমস্যায় সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যে কারণে পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। অনেক সময় খনিজ লবণের ভারসাম্যের কারণে শরীরের পেশিতে টান লাগার সমস্যাও তৈরি হয়। মূলত ক্যালশিয়াম এবং ফসফরসের সমস্যায় এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
মূত্র সমস্যা
আপনাকে যদি বারবার মূত্রত্যাগ করতে হয় তাহলে কিডনির অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে। বিশেষ করে রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্র ত্যাগ করলে আপনাকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মূত্রের সঙ্গে রক্ত বার হওয়া কিংবা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনি সমস্যার লক্ষণ। মূত্রে অ্যালবুমিন বেশি থাকলে অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়ে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।