দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাঁকিয়ে শীত পড়তেই খাদ্যরসিক বাঙালিরা মজেছেন বেগুনে। বেগুন পোড়া হোক কিংবা ভাজা, বেগুন দিয়ে পাতলা মাছের ঝোলই হোক- বেগুন পেলে বাঙালির আর কিছুই চাই না।
তবে এই বেগুন যেমন শরীরের খেয়াল রাখে, ঠিক তেমনই অতিরিক্ত বেগুন খেলে শরীরে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
# ভিটামিন এ সমৃদ্ধ বেগুন চোখের জন্য খুবই উপকারী একটি তরকারী। চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে ও দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়ায় বেগুন।
# বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং কে। এটি শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্ত চলাচলও সচল রাখে।
# বেগুনে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার। যা খাবার হজম করতেও সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে এই বেগুন।
# যাদের কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের জন্য বেগুন খুবই উপকারী। কারণ বেগুনে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে শরীর আরও সুস্থ রাখে।
বেগুনের কারণে কী কী প্রভাব পড়তে পারে শরীরে?
# যারা অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য বেগুন হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর। শরীরের অ্যালির্জিগত সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয় এই বেগুন।
# বেগুনে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের প্রায় ২৯ শতাংশ পাওয়া যায় ৪৫৮ গ্রাম ওজনের বেগুনে। তবে অত্যধিক হারে বেগুন খেলে বমি বমি ভাব কিংবা বমির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
# বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অক্সালেট। শরীরে অতিমাত্রায় অক্সালেট প্রবেশ করার কারণে পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।