দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়াবেটিসের রোগীদের দেখা দিতে পারে অনিদ্রা। দীর্ঘ দিন অনিদ্রায় ভুগলে ডেকে আনতে পারে ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ বা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক বিপদও। এমন হলে কী করবেন?
ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে অনিদ্রা হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। দীর্ঘদিন অনিদ্রায় ভুগলে ডেকে আনতে পারে ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ বা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক বিপদও। ডায়াবেটিস রোগীদের এমনিতেই ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি, তাই অনিদ্রা একটি বড়সড় বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে এটি। আজ জেনে নিন কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা যেতে পারে।
# দিনের বেলা যথাযথ শরীর চর্চা করতে হবে। এতে যে ক্লান্তি আসে তা শরীরের পক্ষে মোটেও ক্ষতিকর নয় তবে সেটি ঘুমের পক্ষে জরুরি।
# বিকেলের পর হতে ক্যাফিন জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলুন। সন্ধ্যার পর চা-কফি সোডা খাবেন না।
# দিনের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেয়ে নিন, যাতে করে রাতের দিকে অতিরিক্ত পানি খাওয়ার প্রয়োজন না পড়ে। এতে করে কমবে বারবার মূত্র ত্যাগ করার প্রবণতাও।
# ঘুমুতে যাওয়ার ঠিক পূর্বে একবার রক্তের শর্করার পরিমাণ মেপে নিতে পারেন, যাতে সঠিক থাকে।
# ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট প্রভৃতি বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। কারণ হলো বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ঘুমে।
# ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করেও নিতে পারেন।
# যদি বাড়িতে পোষ্য থাকে তবে তাকে কখনও শোয়ার ঘরে, বিশেষ করে বিছানায় আনবেন না।
# প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে একটি নির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে তুলুন। ধ্যান, যোগাভ্যাস, বই পড়া বা ডায়েরি লেখার মতো অভ্যাস যদি আপনি প্রত্যেক দিন ঘুমুতে যাওয়ার আগে অনুশীলন করেন, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও তা সাহায্য করতে পারে অনিদ্রা দূর করার ক্ষেত্রে।
# ঘুমুতে যাওয়ার সময় উৎকট আওয়াজ হয় এমন কোনো যন্ত্র কখনও কাছাকাছি রাখবেন না। ফোনের আওয়াজ বা অ্যালার্ম ঘড়ির সশব্দে বেজে ওঠা মোটেও ভালো জিনিস না। এতে ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্য দুইই বিঘ্নিত হতে পারে, তাই এই বিষয়গুলো সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।