দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা যদি অ্যাপলের দীর্ঘ ইতিহাস খেয়াল করি তাহলে দেখতে পাবো তাদের পণ্যগুলো যেমন আইম্যাক, আইপড, আইফোন ও আইপ্যাড সব প্রোডাক্টের আগেই আই অক্ষরটি রয়েছে।
তবে একটু অবাক করার বিষয় হলো, যখন তাদের ঘড়ির কথা আসে তখন সেটি কেনো অ্যাপল ওয়াচ। তারা কি ঘড়িতে তাদের সেই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেন না? তারা কেনো আইওয়াচ দিলো না? এর পেছনে কি কোনো কারণ রয়েছে?
কিছুদিন আগে ব্লুমবারগ এর একটি সাক্ষাৎকারে, টিম কুককে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল তাদের ঘড়ির নাম কেনো আই ওয়াচ না রেখে অ্যাপল ওয়াচ রাখা হয়েছে, কিন্তু উত্তরে স্পেসিফিক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে এই নামকরণে নতুন সিইও, টিম কুক এর কি কোনো হাত রয়েছে?
না! বিষয়টি কিন্তু এমন না, অ্যাপলের নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের নামকরণে সিইও এর কোন কর্তৃত্বই নেই। অ্যাপলের ঘড়ির নাম অ্যাপল ওয়াচ হবার মূল কারণ ট্রেডমার্ক সংক্রান্ত জটিলতা! অ্যাপলের এই প্রোডাক্ট যখন ডেভেলপমেন্টে ছিল তখন আই ওয়াচ নামকরণের তাদের আইনিভাবে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে লড়াই করতে হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওএমজি ইলেক্ট্রনিক্স নামে একটি কোম্পানি দাবী করে আই ওয়াচ নামটি তারা আগে থেকেই ট্রেডমার্ক করে রেখেছেন। একইভাবে Pro Bendz নামে আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক একটি কোম্পানিও তাদের ঘড়ির ক্ষেত্রে আই ওয়াচ ব্যবহার করে যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সকল দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অপরদিকে চীনের একটি কোম্পানিও এই নাম ব্যবহার করে থাকে। তবে এমন জটিলতা অ্যাপলের জন্য নতুন কোনো ঘটনা ছিল না। আগেও আই প্যাড নামটি নেওয়ার জন্য চীনের একটি কোম্পানিকে ৬০ মিলিয়ন ডলার দিতে হয় তাদের। কারণ Proview নামে চীনের একটি কোম্পানি নামটি আগে থেকে নিজেদের নামে ট্রেডমার্ক করে রেখেছিল। আবার আইফোন নামটিও সিসকো, অ্যাপলের আগেই ট্রেডমার্ক করে রাখে। তবে সিসকোকে অ্যাপল কতো টাকা দিয়েছে সেটি প্রকাশ করেনি এখনও।
ভবিষ্যতে ট্রেডমার্ক নিয়ে এমন জটিলতা তৈরি হতে পারে বুঝতে পেরে অ্যাপল, ২০১০ সালের দিকে চেয়েছিল ‘আই’ প্রিফিক্সটি নিজেদের জন্য ট্রেডমার্ক করে নেওয়ার জন্য কিন্তু আদালতের বিপক্ষে গিয়ে এটি করতে পারেনি। আদালত রায় দেয় যে, কোন নির্দিষ্ট কোম্পানিই ‘আই’ প্রিফিক্সটি ব্যবহার করতে পারবেন না। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।