দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখনও কখনও অতিরিক্ত কাজের চাপ, কখনও চাকরির সমস্যা, কখনও সাংসারিক জীবনে অশান্তি, কখনওবা পরীক্ষার ফল ভালো না হওয়ার কারণে দুশ্চিন্তা হয় তাতে ক্ষতি হতে পারে দাঁতের!
জীবনের যে কোনও স্তরে যে কোনও কারণে ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ বা দুশ্চিন্তা। একাকিত্ব, মানসিক যন্ত্রণা, দুঃখ ধীরে ধীরে রূপ নেয় অবসাদের দিকে। যদি সময় মতো এর চিকিৎসা করা না হয় তাহলে অবসাদ মানুষকে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিতে পারে।
জানলে অবাক হবেন অবসাদ ও দুশ্চিন্তার প্রভাব পড়তে পারে দাঁতের স্বাস্থ্যের উপরেও! কেনো এমনটি হয়?
# মন ভালো না থাকলে অনেকেই রান্না করতে ইচ্ছে করে না। আর তখন রেস্তরাঁর খাবারের উপরেই ভরসা করতে হয়। সে ক্ষেত্রে দোকান থেকে কেনা তেল, ঝাল, মশলা যুক্ত খাবার খেলে মুখের স্বাস্থ্যের বারোটা বেজে যেতে পারে।
# দুশ্চিন্তা হলে অনেকেই বেশি করে মিষ্টি খাওয়া শুরু করেন। যে কারণে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া ও ক্যাভিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও অবসাদে ভুগলে অনেকের ক্ষেত্রেই ‘বার্নিং মাউথ সিনড্রোম’ দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, মুখের ভিতর জ্বালা-যন্ত্রণা করে। এমনকি জিভের স্বাদও চলে যেতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।
# অবসাদের কারণে কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করে না। যাদের আগে থেকেই দাঁতের সমস্যা রয়েছে, তারা অবসাদের কারণে নিয়মিতভাবে দাঁতের পরীক্ষা করাতে ভুলে যান। মনে থাকলেও সহজেই চিকিৎসকের কাছে তারা যেতে চান না। এতেই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
# এ ছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট ওষুধ দেওয়া হয় যার রয়েছে অসংখ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এই ধরনের ওষুধ মাড়ির রোগের ঝুঁকি আরও বাড়াতে পারে।
করণীয় কী?
প্রথমত দুশ্চিন্তা এবং অবসাদ যেভাবেই হোক কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাণায়াম এবং যোগাসন ভীষণ উপকারী। সমস্যা বাড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যের প্রতিও বেশিকরে নজর রাখতে হবে। দিনে অন্তত দু’বার সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করুন। ‘মাউথ ওয়াশ’ ব্যবহার করতে কখনও ভুলবেন না। চিনিযুক্ত খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। ধূমপান না করাই ভালো। দাঁতে সামান্য সমস্যা দেখা দিলেই দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।