দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার এবং নানা খনিজ পদার্থে ভরপুর ড্রাই ফ্রুটস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গরমের এই সময় প্রতিদিন সকালে কোন খাবারটি বেশি উপকারী?
গরমকালে শরীর সুস্থ রাখতে নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়ার উপর। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাদ্য রাখা জরুরি, যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। বিকেলে মুখ চালানোর জন্য টুকটাক স্ন্যাকস হিসাবে শুকনো ফলের চাহিদা সকলের রয়েছে। বিশেষ করে যারা ওজন ঝরাতে চান, তারাও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখেন আমন্ড, আখরোট ও কিশমিশ। তবে এই গরমের সময় ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া কী আদৌ ঠিক হবে?
ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার ও নানা খনিজ ভরপুর ড্রাই ফ্রুটস সুস্বাস্থ্য পেতেও ভীষণভাবে উপকারী। তবে গরমের দিনে মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুটস খেলে ঘটতে পারে বিপদ।
তাই এই সময় অতিরিক্ত বাদাম, কাজু, কিশমিশ খেলে শরীরে তাপ উৎপাদনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। যে কারণে পেটও গরম হতে পারে। যার কারণে পেটে ব্যথা, আমাশা, অর্শের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, গরমের দিনেও শুকনো ফল-ফলাদি ডায়েটে রাখতে পারেন। তবে তা খাওয়ার আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে পরিমাণের উপর।
পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে শুকনো ফলগুলি শরীরে তাপ উৎপাদন করতে পারে না। যে কারণে শরীরও সুস্থ থাকে। এই সময় প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ৩/৪টি আমন্ড খেতে পারেন। শিশুদের ক্ষেত্রে দু’টি কাঠবাদামই হবে যথেষ্ট।
গ্রীষ্মকালে যে কোনও খাবারই হজম হতে বেশ কিছুটা অসুবিধা হয়। আর খাবার হজম না হলে শরীরে অস্বস্তি হতে থাকে। ড্রাই ফ্রুটসগুলো ভিজিয়ে রেখে তারপর খেলে সহজেই হজম করা যাবে কোনো রকম অসুবিধা হবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।