দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৩ বছর পর অবশেষে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ও চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’ মুক্তির পেতে যাচ্ছে।
এপ্রিল মাসের প্রথম দিন প্রকাশ করলো গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত বহুল প্রতীক্ষিত এই ছবিটির দাপ্তরিক ডিজিটাল পোস্টার। পোস্টারে দেখা গেলো সিনেমার প্রায় সব কলাকুশলীকে। সেখানে দেখা যাচ্ছে- চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, সুমন আনোয়ারদের মধ্যমণিতে চিৎ হয়ে আছেন লাল হাফপ্যান্ট পরা অচেতন শরিফুল রাজকে!
অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া ৮ জন মাঝিমাল্লা ও এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতার বরাতে জানা যায়, ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি মূলত একালের রূপকথা, বহুল প্রচলিত এই ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখা যাবে। মেজবাউর রহমান সুমন জানিয়েছেন যে, ফিশিং ট্রলারে কী হয়েছে সেটা জানতে হলে দর্শকদের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী মাস তিনেকের মধ্যে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। সেইভাবেই প্রস্তুতি চলছে।
প্রথম সিনেমা হিসেবে আমার প্রত্যাশা অনেক থাকবে সেটিই স্বাভাবিক। ছবির অন্যতম অভিনেতা হলেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি নেট দুনিয়ায় বেশ সরব রয়েছেন ছবিটির প্রচারণা নিয়ে। বলেছেন, এটি আমার প্রাণের ছবি। পোস্টার প্রকাশ এবং মুক্তি সম্পর্কে এই অভিনেতা বলেছেন, কোভিডের কারণে গত কয়েক বছরে আমাদের জীবনে অনেক ছন্দপতনও ঘটেছে। অর্থনীতির চাকা থেকে শিল্পের চাকা, সব ক্ষেত্রেই এসেছে স্থবিরতা। সেই চাকা নতুন করে আবার সচল হতে শুরু করেছে। এখন শুধু প্রয়োজন দর্শকদের শরীরে অংশগ্রহণ। অনেক আগেই আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘হাওয়া’র কাজ শেষ। প্রকাশ পেলো পোস্টার। এখন শুধুই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি অচিরেই ছবিটি মুক্তি পাবে।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী ও সংলাপে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান এবং মেজবাউর রহমান সুমন নিজেই। প্রকাশিত পোস্টারটি ডিজাইন করেছেন সব্যসাচী মিস্ত্রি। শীঘ্রই ‘হাওয়া’ সেন্সরে জমা দেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।