দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় হিমোফিলিয়ার সমস্যা। এই সমস্যা কমাতে কী উপকারী যোগাসন? আজ জেনে নিন এই বিষয়টি।
যোগাসন করলে শরীরের অনেক রোগই নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা জানি মানুষের শরীরে রক্ত তরল আকারে বয়ে চলে। কোনও কারণে কেটে গেলে, কিছুক্ষণ পর ওই কাটা জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় ১ হতে ১২ ফ্যাক্টর প্রোটিন কাজ করে। তাছাড়াও আরও অনেক প্রোটিনও রয়েছে। এদের কোনওটির অভাবে রক্তক্ষরণের মতো রোগও হতে পারে। যাকে বলা হয় ‘ব্লিডিং ডিসঅর্ডার’। এই অসুখে আক্রান্তদের শরীরে কোথাও কেটে গেলে কিছুক্ষণ পর ক্ষত জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধে না, রক্তক্ষরণ হতেই থাকে। সাধারণত রক্তে ‘অ্যান্টি হিমোফিলিক গ্লোবিউলিন’ না থাকলে মানুষ হিমোফিলিয়ার শিকার হয়ে থাকেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো জীবনযাপন করা দরকার। তবে হিমোফিলিয়ার রোগীদের নিয়মিত যোগাসন, প্রাণায়াম করাটা অত্যন্ত জরুরি। যোগাসন করলে শরীরের অনেক রোগও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে হিমোফিলিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে পরিশ্রমসাধ্য কোনও যোগাসন কিংবা শরীরচর্চা না করাই উত্তম।
হিমোফিলিয়ার সমস্যায় ভাল থাকতে নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করতে হবে:
বজ্রাসন
বজ্রাসন আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে বসুন। তারপর সামনের দিকে পা ছড়িয়ে দিন। এখন একটি করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি একেবারে জোড়া করে রাখুন এবং শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। এখন হাত দুটো উরুর উপর টানটান করে রাখুন। কিছুক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসে থাকুন। এই আসনটি শরীরে অতিরিক্ত মেদের সমস্যা হতে মুক্তি দেয়। পেটের তলদেশে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
পশ্চিমোত্তানাসন
পশ্চিমোত্তানাসন আসনটি করতে প্রথমেই চিৎ হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দুটো একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এখন আস্তে আস্তে উঠে বসুন এবং সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। তারপর কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট এবং বুক উরুতে ঠেকান। কিছুক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
বালাসন
বালাসনকে বলা হয়, যোগাভ্যাসের সবচেয়ে আরামদায়ক একটি আসন। ইংরেজিতে এটিকে বলে ‘চাইল্ড’স পোজ’। এই আসনটি করতে প্রথমেই বজ্রাসনে বসুন। হাত দুটি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে একেবারে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এখন ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আবার ছাড়ুন। কয়েক মুহূর্ত এভাবে করার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on এপ্রিল ২০, ২০২২ 1:57 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিল্মের মানুষদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে ২০২১ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বোকো হারাম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতির পিঠে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে…