দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট সন্তানদের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ নয়। সন্তান মুখে মুখে তর্ক করলেও কিন্তু অভিভাবকদের ধৈর্য হারালে চলবে না। বুঝে-শুনে তাদেরকে ঠিক সেইভাবেই টাইটেল করতে হবে।
ছোটরা ভুল করবেই সেটিই কিন্তু স্বাভাবিক। তবে ভালো ও সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে, ছোট থেকেই সন্তানকে ঠিক-ভুলের শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি একটি বিষয়। ছোটদের ভুল-ভ্রান্তি নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ কাজ নয়। অনেক সময় মতের অমিল হলে সন্তান মুখে মুখে তর্ক করতে থাকে, সন্তানের এই অভ্যাসে বিরক্ত হয়ে যান মা-বাবারাও। তবে তাই বলে বেশি কড়াকড়ি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সন্তান এই ধরনের কোনো ভুল করলে অতিরিক্ত বকাঝকা করার বদলে এমন বার্তা তাদের দিতে হবে যাতে সন্তান ভুল শুধরে নেওয়ার একটা সুযোগ পায়।
# শিশুদের পক্ষে সব কিছু বুঝিয়ে বলা বেশ কঠিন। তাই তাকে মনের কথা বুঝিয়ে বলার সুযোগ করে দিন। প্রথমেই ঠিক-ভুলের বিষয়টি নিয়ে কথা না বলে, মন দিয়ে সন্তানের কথা শুনুন। এরপর সহজ করে বোঝান তার কী ভুল হয়েছে, সেইসঙ্গে বাতলে দিন শোধরানোর উপায়ও।
# যখন তখন রাগারাগি করলে চলবে না একেবারেই। বরং ধৈর্য ধরে এবং শান্ত হয়ে সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। বোঝার চেষ্টা করুন সন্তানের তর্ক করার কারণটি আসলে কি। তাকে বলুন ভুল মানুষ মাত্রই করে, এমনকি বাবা-মাও কখনও কখনওবা ভুল করে বসেন। দেখবেন নিজের ভুল স্বীকার সহজ হবে শিশুর পক্ষেও।
# ভুল-ভ্রান্তিকে প্রথমেই খারাপ বলে কখনও চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে করে ভুল স্বীকার করতে ভয় পাবে সন্তান, ভুল করে ফেললে আরও বেশি তর্ক করার বিষয়টিও মোটেই অস্বাভাবিক নয়। সন্তানকে বোঝান ভুল করে ফেললে তা স্বীকার করে নেওয়ার ক্ষমতা ভালো মানুষ হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
# সম্পর্ক ভালো রাখার আসল চাবিকাঠি সংবেদনশীলতা। অনেক সময় সন্তান ঠিক কথা বললেও শুধু সে তর্ক করছে বলেই বাবা-মা তা মেনে নিতেও চান না। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, এটা কিন্তু ঠিক-ভুলের প্রতিযোগিতা নয়। প্রত্যেকটি ভুলই আমাদের কিছু না কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকে, সন্তানদের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদের ক্ষেত্রেও সত্যি এই বিষয়টি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।