দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে পানি পান করতে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একই প্লাস্টিকের বোতলে দিনের পর দিন পানি পান ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ।
প্রতিদিন বোতলে পানি ভরে অফিসে যান, সন্তানের স্কুলব্যাগেও ভরে দেন ওই প্লাস্টিকের পানির বোতল? তৎক্ষণাৎ কিছু না বোঝা গেলেও দিনের পর দিন এমন কাজ করার কারণে বড় ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে শরীরের। দেখা দিতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধি।
# সাধারণত বাজারে যেসব পানির বোতলে পানীয় বিক্রি করা হয়, তার অধিকাংশই বোতলই এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকে তৈরি। এই ধরনের বোতলে দিনের-পর-দিন পানি পান করলে তাতে করে বৃদ্ধি পায় শরীরে ক্যান্সারের আশঙ্কা। প্লাস্টিক বোতল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ‘বিসফেনল এ’ বা সর্টে বলা হয় ‘বিপিএ’-সহ একাধিক উপাদান, যা দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের বোতলে দিনের পর দিন পানি পান করতে থাকলে বোতল থেকে ক্রমাগত এই উপাদানগুলো শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। এই উপাদানগুলো রক্তে মিশলে কিডনির সমস্যাও তৈরি হতে পারে। প্লাস্টিকের বোতলে যদি গরম পানি ভরা হয়, তাহলে আরও বৃদ্ধি পায় এই ঝুঁকি।
# বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারের কারণে দেহে প্রবেশ করতে পারে ক্ষতিকর ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’। প্লাস্টিকের আণুবিক্ষণিক কণাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, প্রায় ৯৩ শতাংশ প্লাস্টিক বোতলেই রয়েছে এইসব ক্ষতিকর উপাদান।
# শুধু যিনি পানি পান করছেন তিনিই নন, এই কারণে ক্ষতি হতে পারে পরের প্রজন্মেরও। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘টাইপ ৭’ নামক এক ধরনের প্লাস্টিক থেকে দেখা দিতে পারে প্রজননের সমস্যাও। এছাড়াও এটি বিপিএ হরমোন এবং ক্রোমোজোমের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ক্রোমজোমের সমস্যা তৈরি হলে সন্তানের দেহে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মত দিয়েছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।