দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কর্মব্যস্ত জীবন এবং খাদ্যাভ্যাসে অনিয়মের যেসব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে, যারমধ্যে অন্যতম হলো রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এটি এখন কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে।
কোন সব্জি পাতে রাখলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে?
মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জমতে থাকে ইউরিক অ্যাসিড, তখনই গাঁটে গাঁটে শুরু হয় ব্যথা বা যন্ত্রণা। পায়ের আঙুলে ব্যথা হওয়া, গোড়ালিতে জ্বালা জ্বালা ভাব বা শরীরের অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণা- এইসব শারীরিক অসুবিধা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কর্মব্যস্ত জীবন এবং খাদ্যাভ্যাসে অনিয়মের যেসব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এমনিতে খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে তা কি়ডনিতে গিয়ে পৌঁছায়। কিডনি এই দূষিত পদার্থকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যমে দেহের বাইরে বের করে দেয়। তবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে তখন কিডনির পক্ষে সেই অতিরিক্ত অ্যাসিডকে বের করা সম্ভব হয় না। যে কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জমতে থাকে ইউরিক অ্যাসিড, তখনই গাঁটে গাঁটে শুরু হয়ে যায় যন্ত্রণা। মূলত অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসই এর জন্য দায়ী। কোন কোন সব্জি পাতে রাখলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে তা দেখে নিন।
পালং শাক
পালং শাকে থাকে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন ও খনিজ। আরও থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। পালং শাকে রয়েছে অক্সালেট যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আরও বাড়ায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেশি থাকলে এই শাক থেকে দূরে থাকায় ভালো।
টম্যাটো
বাঙালি খাবারে টম্যাটোর চল দীর্ঘদিনের। ডাল থেকে খাসির মাংস সবকিছুতেই লাগে এই সব্জি। টমেটোতে ডায়েটরি ফাইবার বেশি মাত্রায় থাকে। টম্যাটোতেও অক্সালেটের মাত্রা অনেক বেশি। তাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের চিকিৎসকরা এই সব্জিটি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ঢ্যাঁড়শ
অনেকেই খুব ভালবাসেন ঢ্যাঁড়শ খেতে। তবে এই সব্জি বেশি মাত্রায় খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ঢ্যাঁড়শ এড়িয়ে চলতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।