দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ এক মানুষ থেকে একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়া কণ্ঠশিল্পী আকবরের অবস্থা বড়ই করুণ। তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর পথযাত্রী।
‘আব্বুর অবস্থা খুবই খারাপ, দুই কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। কিডনির অবস্থা খারাপ হওয়ায় শরীরে পানি জমেছিল। পানি জমার কারণে আব্বুর ডান পা নষ্ট হয়ে গেছে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তোলা কণ্ঠশিল্পী আকবরের দুটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে এভাবেই তার বর্তমান অবস্থার কথা জানিয়েছেন তার মেয়ে অথৈ।
অথৈ আরও লিখেছে যে, গতকাল ডান পায়ের অপারেশন হয়েছে। ডাক্তার বলছে পা কেটেও ফেলতে হতে পারে। এখনও বলা যাচ্ছে না, পা বাঁচানো যাবে কি না। তাছাড়াও আব্বুর শরীরে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে আব্বু’র অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। সবাই আমার আব্বুর জন্য দোওয়া করবেন।’
কিডনির জটিলতা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আকবরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। প্রায় এক দশক ধরে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত আকবর। যার মধ্যে কয়েক দফায় দেশ-বিদেশে চিকিৎসাও করিয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ লাখ টাকা অনুদানও দিয়েছিলেন।
তিনি পেশায় ছিলেন রিকশাচালক। রাস্তায় রিকশায় প্যাডেল মারতেন আর গেয়ে বেড়াতেন নানা গান। তার গায়কীতে মুগ্ধ হতেন যাত্রী-পথচারীরা। তার সুরেলা কণ্ঠের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এক সময় ডাক পেলেন তিনি দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে।
হানিফ সংকেতের হাত ধরে উঠে এলেন তিনি ‘এলাম, গাইলাম, জয় করলাম’ স্টাইলে। নন্দিত সংগীতশিল্পী কিশোর কুমারের গাওয়া ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি ইত্যাদির মঞ্চে গেয়ে ১৫ বছর আগে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যাওয়া সেই গায়ক হলেন আকবর। তার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার মেয়ে অথৈ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।