দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাকের নোলক কা কানের দুলের মতো ছোট গয়না হারিয়ে যেতেই পারে। অনেক সময় আবার খুঁজেও পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তেমনটিই ঘটেছে, তবে পাওয়া গেছে যুবকের ফুসফুসে!
আজকের কথা নয়, ৫ বছর আগে নিজের নাকের নোলক হারিয়ে ফেলেছিলেন জনৈক যুবক। সম্প্রতি সেটি খুঁজেও পাওয়া গেছে। তবে কোথায় পাওয়া গেছে ওই নোলক? পাওয়া গেছে ওই যুবকের ফুসফুসের ভেতরে! এমন ঘটনায় হতো বিহ্বল হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। আমেরিকার ওহায়োর ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে গোটা নেট দুনিয়ায়।
ওই আশ্চর্যজনক কাণ্ড ঘটানো ৩৫ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম জোয়ি লাইকিন। জানা গেছে, কিছুদিন আগে মাঝরাতে কাশির দমকে ঘুম ভাঙে তার। শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যান তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সম্ভবত নিউমোনিয়া হয়েছে জোয়ির। রুটিন মাফিক ফুসফুসের এক্স-রেও করা হয়। তাতেই বোঝা যায় যে, আসলে নিউমোনিয়া নয়, বরং যুবকের বাঁ ফুসফুসে ঘোড়ার ক্ষুরের মতো কিছু একটা আটকে রয়েছে!
এক্স-রে প্লেট দেখে চমকে যান জোয়ি নিজেও। তিনি জানান, সম্ভবত ৫ বছর আগে হারানো তার নাকের নোলকটিই রয়েছে তার ফুসফুসের ভেতর। বছর পাঁচেক আগে সখ করে কিনে ওই নোলক নাকে লাগান তিনি। একদিন ভোরে উঠে দেখেন নাকে নেই তার সাধের গয়নাটি। হাজার খুঁজেও পাননি তিনি। জোয়ির বক্তব্য হলো, এটিই সেই নোলক। চিকিৎসকরা বলেছেন, ঘুমন্ত অবস্থায় নোলকটি যে কোনওভাবেই হোক নাক দিয়ে ঢুকে শ্বাসনালিতে চলে যায়। কয়েক বছর ধরে সেটি ওখানেই ছিল। যদিও কখনও বুঝতে পারেননি নোলকের মালিক জোয়ি। শেষ পর্যন্ত ব্রঙ্কোস্কোপি করে চিকিৎসকরা বের করেন নোলকটি। যদিও নোলকটি ফুসফুসে ঢোকার রহস্যরয়েই গিয়েছে!
নোলকটি যদি ৪ বছর আগে শ্বাসনালীতে ঢুকেই থাকে তাহলে বুঝতে পারলেন না কেনো ওই যুবক? কেনোই বা আগেই কোনও শারীরিক অসুবিধা হলো না তার? এই বিষয়ে কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি আমেরিকার চিকিৎসকরা। তবে ফুসফুস থেকে নোলক উদ্ধার করে রোগীকে সুস্থ্য করেছেন সেটিই বিষয়। ৫ বছর আগের হারানো গয়না খুঁজে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছেন সম্পূর্ণ সুস্থ জোয়ি লাইকিনও! তথ্যসূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।