দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মনে করেন প্রোটিন, ভিটামিন, কার্ব, খনিজ, ‘গুড ফ্যাট’ সমৃদ্ধ খাবারই হলো ‘সুষম খাবার’। ডায়েট নিয়ে এ রকম বহু প্রচলিত থাকলেও যেগুলো আসলেও ভিত্তিহীন। তাহলে আপনি কী খাবেন?
ডায়েট করলেই সুষম আহার প্রয়োজন, এই কথাটি পুষ্টিবিদ থেকে সাধারণ মানুষ- সকলের মুখে মুখে শোনা যায়। তবে সুষম খাবারের সংজ্ঞাটা এক- এক জনের কাছে, এক-এক রকম হয়ে থাকে। কেও বলেন, চর্বিজাতীয় খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। আবার কেও বলেন, প্রোটিন বেশি খাওয়া ভালো। আবার অনেকেই মনে করেন, প্রোটিন, ভিটামিন, কার্ব, খনিজ, ‘গুড ফ্যাট’ সমৃদ্ধ খাবারই হলো ‘সুষম খাবার’। অতএব খাবার তালিকা থেকে পুরোপুরি কিছু বাদ না দিয়ে, স্বল্প পরিমাণে সব কিছুই খেতে হবে। তবে ডায়েট নিয়ে এই রকম বহুল প্রচলিত কথাগুলো আসলেও ভিত্তিহীন।
ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা তো বটেই, যারা কিছুটা স্বাস্থ্য সচেতন, তারাও কিন্তু মিষ্টিজাতীয় জিনিস খেতে চান না। মিষ্টি মানেই চিনি হতে পারে। আবার মধুও মিষ্টি। কিছু কিছু ফলেও শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই বলে ফল খাওয়া কী খারাপ? ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই পৃথক। তবে ফল খেলে কখনও ওজন বাড়ে না। বরং ফলে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি ‘ফ্রুক্টোস’ খাওয়া শরীরের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর।
কার্বহাইড্রেট খেলে মেদ বাড়ে?
অনেকের ধারণা যে, ভাত-রুটি খেলে মেদ আরও বাড়ে। তবে বাস্তবে তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু পাউরুটি, পেস্ট্রি, কেক খাওয়া অবশ্যই ক্ষতিকর। আবার খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট না থাকলে শরীরের ক্ষতি হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
নাস্তা না খেলেও মেদ বাড়ে
ঘুম থেকে ওঠার পর ভারি খাবার না খেলেও ওজন বাড়ে। এই ধারণার সঠিক কোনও যুক্তিই নেই। কারণ হলো, বিশেষ করে যারা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন, তাদের সকালের খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। ১২ হতে ১৬ ঘণ্টা তারা কোনও শক্ত খাবারই খেতে পারেন না।
চর্বি জাতীয় খাবার
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন শরীরে সব রকম যৌগের পুষ্টিগুণ পৌঁছে দিতে হলে, অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি অল্প পরিমাণে হলেও স্নেহপদার্থ খেতে হবে। বাজারে ‘লো ফ্যাট’ নামে আলাদা করে যে সব খাবার জিনিস বিক্রি হয়ে থাকে, সেই সব না খাওয়াই ভালো। সেখান থেকে কিছু পুষ্টিগুণ শরীর পাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।