দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হেঁশেল ঘরে ডিমের জায়গা পাকাপোক্ত। এছাড়াও ডিম হলো প্রোটিনে সমৃদ্ধ একটি উৎস। যে কারণে নিয়ম করে ডিম খান অনেকেই। তবে ডিম রান্নার সময় কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলাটা জরুরি।
চটজলদি কিছু রান্না করার কথা মনে হলে প্রথমেই মাথায় আসে ডিমের কথা। কষা বা ডাল-ভাতের সঙ্গে অমলেট ডিম থাকলে অনেকের মুখেই হাসি ফুটে ওঠে। আবার কোনও খবর না দিয়ে বাড়িতে অতিথি চলে এলেও তড়িঘড়ি কিছু একটা বানিয়ে ফেলতে ডিমই একমাত্র ভরসা।
# বেকিংয়ের সময় অনেক ক্ষেত্রেই ডিম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা ডিম ভুলেও কখনও ব্যবহার করবেন না। নইলে কেক, কুকিজ় ঠিক মতো বেকও হবে না। বেকিংয়ের প্রস্তুতির আগে ডিম ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রায় এলে সেগুলো ব্যবহার করুন।
# অল্প তেলে ডিমের অমলেট বা পোচ রান্নার সময় কড়াইতে সেগুলো লেগে যায়। এগুলো রান্নার সময় ননস্টিক প্যান ব্যবহার করতে হবে। ডিম সেদ্ধ করার সময় উপরে ফুটো করা উঁচু পাত্র ব্যবহার করুন।
# ডিম সেদ্ধ করার সময় কতোক্ষণ ফোটাবেন, তা ঠিকমতো বুঝতে পারা যায় না। মোটামুটি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম চাইলে ১০ থেকে ১২ মিনিট ডিম সেদ্ধ করলেই যথেষ্ট। এরপর গরম পানিতে ডিমগুলো খানিকক্ষণ রেখে দিতে হবে। ভাপেই ডিমগুলো সেদ্ধ হয়ে যাবে। বেশিক্ষণ ধরে পানিতে ফোটালে কুসুমের স্বাদ বিগড়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org