দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অফিসে বসে টানা কাজ করেন। বয়স কম হলেও বসে কাজ করার কারণে পিঠে ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটি হলে কী করবেন? আজ জেনে নিন বিষয়টি।
পিঠে বা কোমরে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই। এই ধরনের ব্যথার কারণ মূলত জীবনযাত্রার ধরনে হয়ে থাকে। সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। ব্যথা যখন কম থাকে, তখন অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন।
চল্লিশের কোঠা হয়তো পার করেননি, পিঠে-কোমরে ব্যথা এসে থাবা বসাতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, তাদের জীবনে ব্যথাকাতরতা যেনো প্রাত্যহিক একটা বিষয়। অনেকেই আবার সেটিকে অবহেলা করেন। আবার ব্যথা যখন অল্প থাকে, তখন অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। অবহেলার এই সময়টুকু ‘ব্যাকপেন’ রীতিমত গম্ভীর জায়গায় পৌঁছে যায়। এই ব্যথা সাধারণত ঘাড় হতে শুরু হয়। তারপর তা কাঁধ, পিঠ এমনকি সাধারণত কোমর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ‘লো ব্যাক পেন’ অনেকের নিত্যদিনের সমস্যা। মানবদেহের মেরুদণ্ডের একটা নির্দিষ্ট আকার রয়েছে। তবে ঠিকভাবে না বসলে ঠিক আকার বজায় থাকে না। আবার বেশিক্ষণ সামনে ঝুঁকে বসলে তখন কোমরে চাপ পড়ে। তা থেকেও এই ধরনের ব্যথা হয়। আবার অনেকক্ষণ বসে থাকার কারণে কোমরের পেশির সঙ্কোচন এই ধরনের ব্যথার কারণ হতে পারে।
নিয়মিত শরীরচর্চা
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর মতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করা দরকার। এর অন্যথা হলে এমন ব্যথা-বেদনার মতো সমস্যা দেখা দিতেই পারে। হাঁটাহাঁটি, যোগাসন ধারাবাহিকভাবেই করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ভিটামিন ডি, রয়েছে এমন খাবার প্রতিদিন পাতে রাখা প্রয়োজন। তাছাড়াও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও ইচ্ছে করলে খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ শুনে চলতে হবে।
ধূমপান ত্যাগ
সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানিয়েছে, ধূমপান কোমরে ব্যথার কারণেও হতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ধমনির ক্ষতিও করে। অস্টিয়োপোরেসিস-এর মতো সমস্যারও আশঙ্কা বাড়াতে পারে ধূমপান। তাই শরীর ভালো রাখতে ধূমপান এড়িয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
সুষম খাবার খাওয়া
প্রতিদিন পাতে কী রাখছেন, তার উপরেই নির্ভর করে আপনার শরীর কেমন থাকবে। কোমরে ব্যথার মতো সমস্যা কমাতে ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। ডিম, মাংস, দুধ, ফল, পনির,মাছের তেল- এমন কিছু খাবার না খেলে নয়। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, তাহলে ব্যথা-বেদনা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।