দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২ খৃস্টাব্দ, ৫ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখছেন সেটি ফরিদপুরের ঐতিহাসিক ‘সাতৈর শাহী মসজিদ’। চতুর্থদশ শতাব্দীতে নির্মিত সুপ্রাচীন এই মসজিদ ফরিদপুর এলাকার ইসলামী ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শন।
এই মসজিদটি বর্তমানের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলাস্থ সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর গ্রামে অবস্থিত। সুলতানি আমলের সতেরোটি টাকশাল শহরের মধ্যে অন্যতম এটি ছিল ভূষণা, এই ভূষণা রাজ্যের সুপ্রাচীন নৌবন্দর এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল মধুমতি নদীর তীরবর্তী সাতৈর এবং এর আশপাশের অঞ্চল। সেজন্য সাতৈর ও এখানে অবস্থিত ‘সাতৈর শাহি মসজিদ’ সেকাল থেকেই ভৌগলিক এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও মসজিদের পাশ ঘেঁষেই চলে গেছে ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড কিংবা শেরশাহ সড়ক।
বর্গাকার এই মসজিদ বাইরের দিক হতে ১৭.৮ মিটার ও ভেতরের দিক থেকে ১৩.৮ মিটার। কথিত রয়েছে, ভূমি থেকে মসজিদটির মেঝে প্রায় ০.৭৬ মিটার উঁচু ছিল, বর্তমানে ০.৬ মিটার উঁচু। মোট ৯টি কন্দ আকৃতির গম্বুজও রয়েছে। মসজিদটির ভেতরে পাথরের তৈরি ৪টি স্তম্ভ, দেওয়ালে ও দেওয়ালের গা সংলগ্ন মোট ১২টি পিলারও রয়েছে। গম্বুজগুলো পেন্ডেন্টিভ পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়। আরব দেশীয় মসজিদগুলোর মতো মোট ৩টি মেহরাব রয়েছে, যার কেন্দ্রটি তুলনামূলকভাবে একটু বড়। তবে এখন মসজিদটি সেই পুরনো আকৃতিতে আর নেই; সংস্কার এবং পরিবর্ধনের কারণে তার মূল অবকাঠামো কিছুটা পরিবর্তন হয়ে গেছে।
ঐতিহাসিক এ মসজিদের নির্মাণ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। লা হয়- এটি বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের সমসাময়িককালে নির্মাণ করা হয়। এক্ষেত্রে সব থেকে নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়, ভূষণা রাজ্যের ইতিহাস গ্রন্থের রচয়িতা কবি সমর চক্রবর্তীকে। ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি এই মসজিদটিকে সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহের গোড়াপত্তনকৃত হোসেন শাহী রাজবংশের শাসন আমলে (১৪৯৪ থেকে ১৫৩৮ খৃষ্টাব্দ) নির্মিত স্থাপনা বলে মত দেন। ধারণা করা হয় যে, আলাউদ্দীন হোসেন শাহ তার পীরের সম্মানে এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদটির মিনারের গঠনশৈলী এবং ইটের আকার দেখে বিশেষজ্ঞমহল এটিকে সে আমলের ইমারত হিসেবে-ই শনাক্ত করেন।
তথ্যসূত্র: www.dailynayadiganta.com ছবি- উইকিপিডিয়া।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।