দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (২২ অক্টোবর) রাজধানীর বেসিস সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ওএনডিসি (ওপেন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কমার্স) – ডিজিটাল কমার্সের নতুন ভবিষ্যত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্লাটফর্মসহ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এসএমই ফাউন্ডেশন, বেসিস এবং অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ভারতের ওএনডিসি বাস্তবায়নকারী সংগঠন ওএনডিসি ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী টি কোশি মূল আলোচক হিসাবে ওএনডিসি, এর কাজের পরিধি, সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করেন।
এই সময় টি কোশি বলেন, ডিজিটাল ব্যবসার এই ওপেন নেটওয়ার্ক ই-কমার্স ব্যবসায় নতুন বিপ্লব আনতে যাচ্ছে। টি কোশির বক্তব্যে উঠে আসে যে, ওএনডিসি কোনো নতুন প্লাটফর্ম নয়, এটি একটি নেটওয়ার্ক কিংবা পদ্ধতি যার মাধ্যমে ডিজিটাল কমার্স সম্পর্কিত সকল অংশীদারগণ একটি অভিন্ন প্রটোকল দ্বারা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই পদ্ধতির বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে ছোট কিংবা ক্ষুদ্র অনলাইন ব্যবসায়ীদের। দেশি-বিদেশি বৃহৎ অনলাইন প্লাটফর্ম যাতে ই-কমার্স সেক্টরে একক আধিপত্য বিস্তার করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বঞ্চিত না করতে পারে সেটি ওএনডিসি নেটওয়ার্ক তৈরির অন্যতম ও প্রধান উদ্দেশ্য।
বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ভারতের মতো নতুন এই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে প্রাইভেট সেক্টর এক সাথে কাজ করা উচিত। এই ক্ষেত্রে বেসিস বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকলকে সব ধরণের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট ডিভিশনের মহা-ব্যবস্থাপক মেজবাউল হক বলেন, সাম্প্রতিক সময় একটি দুটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার জন্য পুরো সেক্টর সম্পর্কে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এটি থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ই-কমার্স সেলের প্রধান মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, ওএনডিসি নেটওয়ার্ক বড় বিদেশি প্লাটফর্ম যাতে বাজার থেকে ছোট ব্যবসায়িদের বিতাড়িত করতে না পারে তার রক্ষাকবচ হিসাবেই কাজ করতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্সের জন্য উপযোগী ওপেন নেটওয়ার্ক নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করবে। বেসিসসহ অন্যান্যদের মতামত নিয়ে এই নীতিমালা তৈরি করা হবে।
উক্ত আলোচনা সভার সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, এসএমইএফ -এর মহাব্যবস্থাপক মো. নাজিম হাসান সাত্তার, পাঠাও -এর প্রধান নির্বাহী এবং বেসিসের পরিচালক ফাহিম আহমেদ, মাস্টারকার্ডের বাংলাদেশ প্রধান এবং বেসিসের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ মোহাম্মদ কামাল, বেসিস পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, চালডাল-এর পরিচালক এবং বেসিস ডিজিটাল কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান জিয়া আশরাফ, ই-কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব রাহুল সাহা, সেবা প্লাটফর্ম-এর প্রধান আদনান ইমতিয়াজ, এটুআই এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট জয়ন্ত কে ভৌমিক, টালিখাতার প্রধান ডঃ শাহাদাত খান সহ অন্যরা। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।