দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের জনপ্রিয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড গ্রাহকদের অর্ডার ডেলিভারি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্কোর করা শীর্ষ রাইডারদের পুরস্কৃত করলো।
সম্প্রতি রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফিসে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ঈদের ছুটি চলাকালীন রাইডারদের অনুপ্রাণিত এবং অতিরিক্ত উপার্জনের সুযোগ করে দিতে গত জুলাই মাসে ‘ঈদ বোনানজা’ শীর্ষক এক ক্যাম্পেইন চালু করেছিলো ফুডপ্যান্ডা।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ হতে খন্দকার আন্দালিব হাসান মাসনুন ডিরেক্টর (অপারেশন্স), জামাল ইউসুফ জুবেরি ডিরেক্টর (ফাইন্যান্স), গাজী তাওহীদ আহমেদ, হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এন্ড মিডিয়া রিলেশনস ও মোহাম্মদ তাবরেজ খান, হেড অফ লজিস্টিকস বিজয়ী রাইডারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
গত ১ জুলাই শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনটি চলে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। এই ক্যাম্পেইনে ৮ হাজারেরও বেশি রাইডার অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য হতে ৮৮ জন এই ক্যাম্পেইনের বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়। যার মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৯টি জোন (অঞ্চল) হতে ৭২ জন, চট্টগ্রাম থেকে ৮ জন এবং নারায়নগঞ্জ থেকে ৮ জন রাইডারকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শীর্ষ ৩৩ জন রাইডারকে (জোন ভিত্তিক) পুরস্কার হিসেবে মোবাইল ফোন ও ৫৫ জন রাইডারকে (জোন ভিত্তিক) সাইকেল প্রদান করা হয়। এই ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত রাইডার মোহাম্মাদ সবুজ ইসলামকে পুরস্কার হিসেবে মোটরবাইক দেওয়া হয়। ক্যাম্পেইনের গিফট পার্টনার হিসেবে রয়েছে দুরন্ত, টিভিএস এবং সুমাশ টেক।
এ সম্পর্কে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের ডিরেক্টর (অপারেশন্স) খন্দকার আন্দালিব হাসান মাসনুন বলেন, “আমরা রাইডারদের ইচ্ছানুযায়ী তাদের পছন্দমতো জায়গায় কাজ করার সুযোগ করে দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে, তারা কাজের ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা পায়। রাইডারদের অনুপ্রাণিত করতে আমরা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। রাইডারদের জন্য ‘ঈদ বোনাঞ্জা’ ক্যাম্পেইনটি এই উদ্যোগেরই অংশ। আমরা বিশ্বাস করি, এই ধরনের আয়োজন রাইডারদের কাজের ক্ষেত্রে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে। এই ক্যাম্পেইনের সকল বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারীদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।