দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ পর্দা উঠছে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের। ইতিমধ্যেই ফুটবল নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। তারকাদের মধ্যে এই প্রবণতা একেবারেই কম নয়। বৌমা আর্জেন্টিনা আর শ্বশুর গায়ক আসিফ ব্রাজিল।
ইতিমধ্যেই প্রত্যেকেই নিজের প্রিয় দলকে নিয়ে তর্কযুদ্ধে মেতে ওঠেছেন। বিশ্বকাপের উন্মাদনা ছুঁয়ে গেছে তারকা অঙ্গনেও। ফুটবলপ্রেমী তারকারা পছন্দের দলের জার্সি পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরের প্রিয় দল হলো ব্রাজিল। একজন বাদে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও একই দলের সমর্থক। আর সেই একজন হলেন গায়কের সদ্য বিবাহিত পুত্রবধূ ইসমত শেহরীন ঈশিতা। তিনি একজন আর্জেন্টিনার সমর্থক।
বিষয়টি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসিফ লিখেছেন যে, ১৯৮২ সালে আমি ক্লাস ফোরে পড়ি। বাসায় ৬ চ্যানেলের সাদাকালো ফিলিপস টিভি। রাত জেগে খেলা নিয়ে আব্বার কোনো অবজেকশন নেই, এদিকে আম্মাও ব্রাজিলের সাপোর্টার। তিনি খেলা দেখতেন, সঙ্গে আমরাও। বাসায় লোকজনে ভরপুর, একটা উৎসবমুখর পরিবেশও। বেগম জার্মানির সাপোর্টার হলেও ব্রাজিলের প্রতি দূর্বল, রণ সরাসরিই ব্রাজিল। রুদ্র মেসি সাপোর্টার হলেও বেসিক ব্রাজিল। আমার মেয়ে রঙ্গন ছোট হলেও ওর ম্যাচুরিটি বলে সেও ব্রাজিলের সাপোর্টার। ভাইবোনদের মধ্যে ইতালি, জার্মানি ও ইংল্যান্ডের আনকমন সাপোর্টারদের অকার্যকর উপস্থিতি সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। আর্জেন্টিনার কোনো সাপোর্টার নেই ঘরে, কষ্টদায়ক বিষয় একটু। গতকালই খবর পেলাম যে, বৌমা ঈশিতা নাকি আর্জেন্টিনা সমর্থক। অবশ্য এই বিষয় নিয়ে তার ব্রাজিলিয়ান হাজবেন্ডের সঙ্গে এখনও সাংঘর্ষিক কোনো কিছু দৃশ্যমান হয়নি। তবে শ্বশুর হিসেবে আমি স্বাগত জানিয়েছি।
ব্রাজিলের জার্সি পরা একটি ছবি পোস্ট করেছেন আসিফ। জার্সিটি তিনি একজন আর্জেন্টাইন সাপোর্টারের কাছ থেকেই উপহার পেয়েছেন। এ সম্পর্কে আসিফ লিখেছেন, জার্সি ভালোবেসে আমাকে উপহার দিয়েছে আর্জেন্টাইন সাপোর্টার ছোট ভাই আরজে টুটুল। ছবিটি তুলেছেন সদ্য মেয়ের বাবা হওয়া ব্রাজিলিয়ান সক্রেটিস- কিশোর দাশ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।