দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখে ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়তে থাকে। আপনারও কী ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে? সুস্থ থাকতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনের উপর।
সাধারণত স্থূলতার হাত ধরে যে সব রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে, তারমধ্যে অন্যতম হলো ফ্যাটি লিভার। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার কারণে মেদ লিভারে জমা হতে হতে এই সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের লিভার সাধারণত ৫ হতে ৬ শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়েও বেশি চর্বি জমা হতে থাকলে তা হতে পারে বিপজ্জনক। সময় মতো চিকিৎসা না করালে এই অসুখের হাত ধরে সিরোসিস অফ লিভার রোগও হতে পারে।
ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতাও বাড়ে। প্রথম থেকে সতর্ক না হলে এই অসুখের জেরে লিভারের বড়সড় ক্ষতিও হতে পারে। জেনে নিন কোন কোন যোগাসন নিয়মিত করলে এই সমস্যা কমে আসবে।
পশ্চিমোত্তানাসন
প্রথমে পা ছড়িয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে বসতে হবে। তারপর ভালো করে শ্বাস নিন। তারপর মাথার উপর হাত দু’টি সোজা করে নমস্কারের ভঙ্গিতে প্রসারিত করতে হবে। এখন শ্বাস ছাড়ুন। শরীরটি বেঁকিয়ে হাত দু’টি পা পর্যন্ত নিয়ে আসুন। পা যেনো না বেঁকে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এই অবস্থায় হাত দু’টি দিয়ে গোড়ালি জড়িয়ে ধরতে হবে। এখন পায়ের উপর মাথা রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর হাত দু’টি আবারও মাথা পর্যন্ত প্রসারিত করুন। এরপর ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে যান। মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপও কমায় এই আসনটি।
হলাসন
পিঠ নীচে রেখে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়তে হবে। তারপর হাত মাটিতে রেখে অ্যাক্সেলের সঙ্গে পা দু’টিকে ধীরে ধীরে শিরদাঁড়ার জয়েন্ট মাথার উপর দিয়ে নিয়ে তারপর মাটি ছুঁতে হবে।
ধনুরাসন
ম্যাটের উপরে পেট ঠিক নীচের দিকে রেখে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে দু’হাত দিয়ে গোড়ালি দু’টি ধরে রাখতে হবে। শ্বাস টানার সঙ্গে সঙ্গে নাভি মাটিতে ছুঁয়ে রেখে পুরো শরীরটাই তুলে ধরতে হবে।
ভুজঙ্গাসন
পেট ঠিক নীচের দিকে রেখে ম্যাটে শুয়ে পড়তে হবে। হাত দু’টি থাকবে ঠিক কাঁধের দু’পাশে। এরপর শ্বাস টেনে কাঁধ ধীরে ধীরে মাটি হতে তুলে নিতে হবে।
কপালভাতি
পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসে থেকে মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখবেন যাতে শ্বাস ছাড়ার সময় পেট যেনো একটু করে ভিতরের দিকে ঢুকে আসে। এভাবে অন্তত ২০ বার একনাগাড়ে করতে থাকুন। কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে আবার এভাবে করতে থাকুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।