দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আনারসের দাম এতো হতে পারে তা কী কেও কখনও ভেবে দেখেছেন? তবে এবার ঠিক তাই হয়েছে। একটি আনারসের দাম সোয়া লাখ টাকা!
সুস্বাদু এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল হিসেবে আনারসের পরিচিতি ও চাহিদা সারাবিশ্বেই রয়েছে। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি’র পাশাপাশি রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান।
আমাদের দেশের প্রায় সব ফলের দোকানেই আস্ত ও রাস্তার পাশে কেটে আনারস বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে একটি গোটা আনারসের দাম দেশের বাজারে সর্বোচ্চ কতোই বা হতে পারে? ১০০ টাকা? নাকি ২০০ টাকা? তবে ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের বিশেষ জাতের একটি আনারস চাষেই নাকি খরচ হয় সোয়া লাখ টাকা।
এটি শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ঘটনাটি সত্য। ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে হেলিগান নামে একটি বাগান রয়েছে, যেখানে বিশেষ পদ্ধতিতে এই আনারস চাষ করা হয়ে থাকে। বাগানের নামে আনারসটির নামকরণ করা হয়েছে হেলিগান।
বাগানটিতে চাষ হওয়া আনারস কিনতে হলে প্রতিটির জন্য আপনাকে গুনতে হবে অন্তত ১ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার টাকারও বেশি হবে। জানা গেছে, এই বাগানে উৎপাদিত দ্বিতীয় আনারসটি ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।
উচ্চমূল্যের এই ফলের জন্য একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে। সেখানে বলা হয়, ১৮১৯ সালে এই আনারস যুক্তরাজ্যে আনা হয়েছিলো। কিছুদিন পর উদ্যানতত্ত্ববিদরা বুঝতে পারেন যে্, শীতপ্রধান আবহাওয়ায় এই আনারস চাষ সম্ভব নয়। তাই তারা বিকল্প উপায়ও খুঁজতে থাকেন।
সংবাদ মাধ্যমকে বাগানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এখানে প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন পদ্ধতিতে আনারস চাষ করা হয়ে থাকে। তবে চাষ হওয়া এই আনারস প্রচলিত উপায়ে কখনও বিক্রি করা হয় না।
এই বাগানের আনারস সংগ্রহ করার পর নিলামে তোলা হয়। নিলামে একেকটি আনারস ১ লাখের বেশি টাকায় বিক্রি করা হয়। এমনকি মাঝে-মধ্যে একটি আনারসের দাম ১২ লাখ টাকাতে পৌঁছে যায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।