দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং খাওয়া-দাওয়ার কারণে ঘুমের ঘোরে মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা ছাড়াও নাক ডাকার অন্য একটি চিহ্নিত কারণ হলো- স্লিপ অ্যাপনিয়া। আসলে কী এই রোগ?
অনেকেই ঘুমের ঘোরে সশব্দে নাক ডাকেন। কেও বিষয়টি স্বীকার করেন, কেও আবার বেমালুম অস্বীকার করেন! চিকিৎসকরা মনে করেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার কারণেই ঘুমের ঘোরে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা ছাড়াও নাক ডাকার অন্য আরেকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। আর তা হলো ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’।
তাহলে আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনি স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত?
# অতিরিক্ত নাক ডাকা হলো এই সমস্যার প্রধান উপসর্গ। হালকাভাবে নয়, এই রোগে আক্রান্ত হলে নাক ডাকার আওয়াজ অনেকটাই প্রবল হতে পারে।
# ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার মুখ কী খুব বেশি শুকনো লাগে? আপনার গলা শুকিয়ে আসে? এটিও স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণই। এই রোগে আক্রান্ত হলে শ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। সেজন্য মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়। যে কারণে গলা শুকিয়ে আসে। শ্বাসেও দুর্গন্ধ হয়।
# সারাক্ষণ ক্লান্ত ভাব লাগা, ঘুম ঘুম ভাব থাকা, ঝিমুনি, খিটখিটে মেজাজও স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রধান কয়েকটি লক্ষণ। রাতে ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখাও এই স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ হতে পারে।
# ঘুম হতে উঠেই প্রবল মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়? মাথা ঘোরায়? নিয়মিত এমনটা হওয়া রোগের লক্ষণ। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হলে ঘুমোনোর সময় শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ ঠিক মতো হয় না। তাই মাথা যন্ত্রণা হওয়াও স্বাভাবিক।
# স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগে ভুগলে ঘুম একেবারেই ঠিকমতো হয় না। ঘুমের ঘাটতির কারণে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, সঙ্গমে অনীহার মতো সমস্যাও তখন দেখা যায়।
সাধারণত মানুষের ক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে ঘাড় এবং গলার পেশি শিথিল থাকে। তবে যারা স্লিপিং ডিজ়অর্ডারে ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে শ্বাসক্রিয়া বাধা পায়। যে কারণে শরীরের কোষগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পায়। স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের মধ্যে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যেতে পারে। তাই স্লিপ অ্যাপনিয়ার উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি। খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। চিত হয়ে শোয়ার অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। পাশ ফিরে শোয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।