দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্য সময়ের তুলনায় শীতকালে পানি খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। কেও জেনেই ভুল করেন, আাবর কেও অজান্তেই পানি কম খান। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না গেলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা থেকেই যায়।
দীর্ঘদিন পানি কম খেতে থাকলে তার প্রভাব পড়া শুরু করে শরীরের উপরেও। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেগুলো বুঝতেও পারি না। আপনি যে পানি কম খাচ্ছেন, শরীর কিন্তু বেশ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে আমাদের তা জানানও দিচ্ছে। জেনে নিন সেগুলো আসলে কী শারীরিক সমস্যা।
হাত-পায়ে টান ধরা সমস্যা
ডিহাইড্রেশনের কারণে শরীরের মাংসপেশিগুলোতে পানি পৌঁছায় না। যে কারণে চট করে হাত-পায়ে টান লেগে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। হাঁটতে গেলে কিংবা দৌড়াতে গেলে বা ওঠাবসার সময় প্রায়ই সময় টান লাগছে, তাহলে বুঝতে হবে পানি খাওয়ার পরিমাণ আপনাকে বাড়াতে হবে।
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়লে
দীর্ঘদিন শরীরের পানি কমে গেলে আপনার লিভার ঠিক মতো কাজ করতে পারবে না। লিভার পানির সাহায্যে গ্লাইকোজেন তৈরি করে থাকে, যা আমাদের শক্তি জোগায়। তবে সেটি ঠিক মতো না হলে শরীরের আরও বেশি খাবারের প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনার নোনতা স্ন্যাকস, চকোলেট, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যেতে পারে।
মাথা যন্ত্রণা হওয়া
মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময়ই ডিহাইড্রেশন থেকে শুরু হয়ে থাকে। তাই সারাক্ষণ মাথা ধরে থাকলে বেশি করে পানি পান করুন। তাছাড়া শীতকালে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ থাকে, তার উপর যদি শরীরে পানির ঘাটতি হয়, তাহলে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
মুখে দুর্গন্ধ
সাধারণত মানুষের মুখের লালায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে। তবে শরীরে পানি কম গেলে বেশি লালা তৈরি হয় না, আর তখন মুখে ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে যায়। তা থেকেই মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে।
শুষ্ক ত্বক
সাধারণত শীতকালে এমনিতেই ত্বক বেশ রুক্ষ থাকে। তার উপর যদি শরীরে পানির ঘাটতি হয়, তাহলে এই সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। তখন ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে। আর তখন ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। একবার আপনার হাতে চিমটি কেটে দেখুন। আপনার ত্বক কী অনেকক্ষণ কুঁচকেই থাকছে? স্বাভাবিক হতে অনেকটা সময় নিচ্ছে? তাহলে আপনার আরও পানি খাওয়ার দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।