দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যাপারটা বেশ মজার। তবে প্রশ্ন আসতেই পারে কি ঘটবে, যদি পর্যায় সারণির সকল মৌল একই সাথে বিক্রিয়া শুরু করে? বলে রাখা ভাল এতটুকু নিশ্চিত যে এই ধরনের একটি বিক্রিয়া সাধারণ পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়। এই বিক্রিয়া সম্ভব কেবল কয়েক ডজন বিশালাকৃতির লার্জ হাইড্রন কলাইডার কিংবা উত্তপ্ত এবং জ্যোতি ছড়াতে থাকা প্লুটোনিয়ামের কড়াইয়ের মধ্যে।
এই অদ্ভুত প্রশ্নটি নিয়ে যখন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির রসায়নের অধ্যাপক মার্ক টাকারম্যানের কাছে যাওয়া হয়, তিনি বলেন, “রাসায়নিক পদার্থের অণুগুলো যখন একটি অপরটির কাছাকাছি আসে, একটির ইলেক্ট্রনের কক্ষপথ অপরটির কক্ষপথের ওপর গিয়ে পড়ে, একটি অপরটির ইলেক্ট্রন আঁকড়ে ধরে, তখনই ভিন্ন একটি বস্তুর জন্ম হয়। কয়েকটি বস্তুর অণু বাক্সে ভরে ঝাঁকালেই তো আর হবে না। তবে বিক্রয়ায় কি উৎপন্ন হবে, তা নির্ভর করে কোন পদার্থটি কোনো পদার্থের কাছে গিয়েছে। সার্নের লার্জ হাইড্রন কলাইডারে, যেখানে কোনো বস্তুকণাকে আলোর ৯৯.৯৯ শতাংশ গতিতে ঘুরানো হয়, সেখানেও এই পরীক্ষা চালালে কোনো নিয়মবহির্ভুত অপ্রত্যাশিত বা ভুতুড়ে ফলাফল পাওয়া যাবে না। বড়জোর কোয়ার্ক গ্লুয়োণ প্লাজমা উৎপন্ন হত পারে। কিন্তু উৎপন্ন হওয়ার এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে তা ভেঙে যাবে।”
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের তাত্ত্বিক রসায়নের বিশেষজ্ঞ জন স্ট্যানটন বলেন, “এ ধরনের পর্যবেক্ষণ মানুষের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত হয়নি। একটা মুখবন্ধ করা কন্টেইনারে এটা চালানো যেতে পারে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশে কয়েকটা ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়। অক্সিজেন লিথিয়াম বা সোডিয়ামের সাথে বিক্রিয়া করবে, জ্বলে উঠবে এবং কন্টেইনারশুদ্ধ বিস্ফোরিত হবে। সকল মৌল নেয়া হলে অন্তত ২৫টি তেজস্ক্রিয় মৌল থাকার কথা। তার ওপর থাকবে প্লুটোনিয়াম। তেজস্ক্রিয়তার এই মিশ্রণ এমন একটা পরিস্থিত সৃষ্টি করবে যে তাতে সংশ্লিষ্ট মানুষজন কিছু বোঝার আগে মারা যাবে।” তবে শেষ পর্যন্ত মার্ক টাকারম্যানের উপসংহার টেনে নিয়ে স্ট্যানটন বলেন, “মৌলদের অদ্ভুত কোনো নতুন আচরণ বা অযৌক্তিক কোনো ভুতুড়ে পদার্থ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বিক্রিয়া শেষে সকল মৌলই চিরাচরিত নিয়মে সাম্যাবস্থায় ফেরত যেতে চাইবে।”
তথ্যসূত্র: পপ সায়েন্স