দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টিকটকে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজারের কাছাকাছি, ইউটিউব চ্যানেলের ৯০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। আবার ফেসবুকেও লক্ষ লক্ষ মানুষ ফলো করেন। কোনো তারকা সেলেব্রিটি নয়, এ হচ্ছে একটি ষাঁড়। এই ষাঁড়ের নাম অ্যাস্টন।
তবে ষাঁড় হওয়া সত্ত্বেও অ্যাস্টন ঘোড়ার মতো আচরণ করে। এফএমটির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাস্টন ফ্রান্সের উত্তরের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। ওর ওজন প্রায় দেড় টন। অ্যাস্টন সাবিন রোস নামে একজন ঘোড়সওয়ারের অধীনে বেড়ে ওঠেছে। হয়তো সে কারণেই অ্যাস্টন ষাঁড়ের বদলে ঘোড়ার মতোই আচরণ করে সে।
জানা যায়, অ্যাস্টনের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সাবিনের স্বামী ইয়ানিক ক্রিস্টোফার। তিনি অ্যাস্টনের নামে খোলা অ্যাকাউন্টগুলো চালাচ্ছেন। প্রায় ৯ বছর পূর্বে সাবিনের একটি পোষা ঘোড়া মারা যায়। সেই ঘোড়াটি ২০ বছর ধরেই তার সঙ্গী ছিল।
এরপর সে হন্যে হয়ে ঘোড়া খুঁজতে লাগলো। পছন্দের ঘোড়া না পেয়ে তিনি গরু পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি পাশের গ্রামের খামারে একটি গর্ভবতী গাভী দেখতে পান। তিনি ওই গাভীর বাছুরটি কেনার কথাও ভাবলেন। পরে এক বছর বয়স হলে তিনি বাছুরসহ গরুটিকে কিনে নিলেন।
তিনি বাছুরকে লালন-পালন এবং প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। সাবিনের কাজ যারা ঘোড়সওয়ার হতে চায় তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। বাছুরটিকে বাড়িতে আনার পর ঘোড়ার মতো প্রশিক্ষণও দেন। তিনি প্রাণীটির নাম দিয়েছেন অ্যাস্টন। অ্যাস্টন ধীরে ধীরে বড় ষাঁড়ে পরিণত হয়। ঘোড়ার প্রশিক্ষণের কয়েক বছর পর অ্যাস্টন অবিকল ঘোড়ার মতোই আচরণ করতে শুরু করে। প্রাণীটি ঘোড়ার মতোই লাফাতে এবং দৌড়াতে পারে।
এক সময় স্থানীয় মানুষের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অ্যাস্টন। ষাঁড়টি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে বহু মানুষ। এমন জনপ্রিয়তা দেখে সাবিনের স্বামী অ্যাস্টনের নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যাস্টন এখন দেশ-বিদেশে হয়ে উঠেছেন সেলিব্রেটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।